AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

SIR: ৩ বারের কাউন্সিলর, বর্তমানে ডেপুটি মেয়র, তাঁর নামই নেই ভোটার তালিকায়

Chandannagar: ডেপুটি মেয়র বলেন, "২০০২ সালের আগে পরে যত নির্বাচন হয়েছে সব নির্বাচনেই ভোট দিয়েছি। আমি নিজে তিনবার কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছি। তার আগে খলিসানি এলাকা পঞ্চায়েত ভোটেও আমি ইলেকশনের এজেন্ট ছিলাম। এখন যে ভোটার তালিকা দেওয়া হয়েছে, সেই তালিকায় দেখছি আমার নাম নেই।"

SIR: ৩ বারের কাউন্সিলর, বর্তমানে ডেপুটি মেয়র, তাঁর নামই নেই ভোটার তালিকায়
নাম বাদ গেল ডেপুটি মেয়রেরImage Credit: Tv9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Aug 12, 2025 | 10:57 PM
Share

চন্দননগর: গোটা দেশের রাজ্য-রাজনীতিতে এখন ইস্যু একটাই, SIR। এই নিয়ে উত্তাল হচ্ছে সংসদ। প্রতি মুহূর্তে সুর সরাচ্ছে বিরোধীরা। এই আবহের মধ্যেই এবার জানা গেল পুরসভার ডেপুটি মেয়রের নাম নেই ভোটার তালিকায়, নাম নেই তাঁর স্ত্রীরও। যার জেরে তুমুল চাঞ্চল্য চুঁচুড়া পুরসভায়। এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপি নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে এসআইআর-এর জুজু দেখাচ্ছে। আর পদ্মশিবিরের দাবি, ভুয়ো ভোটার ধরা পড়ার ভয় পাচ্ছে এ রাজ্যের শাসকদল।

বিহারের ইতিমধ্যেই SIR হয়েছে। তারপর থেকেই বাংলায়ও স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশান (SIR) নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই ২০০২ সালের ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে কমিশনের তরফে। সেই তালিকাতেই দেখা যাচ্ছে চন্দননগর কর্পোরেশনের ডেপুটি মেয়র অমিত আগরওয়াল (মুন্না) ও তাঁর স্ত্রী ববিতা আগরওয়ালের নাম নেই। এই নিয়েই শুরু হয়েছে জল্পনা। ১৮২ চন্দননগর বিধানসভার ২নং অংশে খলিসানী বৌবাজারে তাঁদের বুথ। তালিকায় মুন্নার মা ও ভাই-এর নাম থাকলেও নেই অমিতের।

ডেপুটি মেয়র বলেন, “২০০২ সালের আগে পরে যত নির্বাচন হয়েছে সব নির্বাচনেই ভোট দিয়েছি। আমি নিজে তিনবার কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছি। তার আগে খলিসানি এলাকা পঞ্চায়েত ভোটেও আমি ইলেকশনের এজেন্ট ছিলাম। এখন যে ভোটার তালিকা দেওয়া হয়েছে, সেই তালিকায় দেখছি আমার নাম নেই। আমার জন্মের শংসাপত্র থেকে শুরু করে তথ্য আছে সেগুলো চাইলে আমি দেখাতে পারব। কিন্তু সাধারণ মানুষ, যাঁরা আর্থসামাজিকভাবে পিছিয়ে রয়েছেন তাঁদের ক্ষেত্রে হলে কী করবেন? ভুয়ো ভোটারের কথা বলছে বিজেপি। সেগুলো ধরার দায়িত্ব তো নির্বাচন কমিশনের। যেমন নোট বন্দি করে মানুষকে লাইনে দাঁড় করিয়েছিলেন একই ভাবে মানুষকে হয়রান করার চেষ্টা করছেন SIR এর নামে। এসব প্রত্যাহার করুন। না হলে আপনাদের মানুষ জবাব দেবে।

এখানেই শেষ নয়, ডেপুটি মেয়র আরও বলেন, “আমি একজন রাজনৈতিক দলের কর্মী। কর্পোরেশনের ডেপুটি মেয়র। এলাকায় যথেষ্ট পরিচিতি আছে। আমারই যদি নাম না থাকে তাহলে সাধারণ মানুষের কী হবে?

চন্দননগর বিধানসভার বিজেপি কনভেনার গোপাল চৌবে বলেন, “এ রাজ্যে শাসক দল তৃণমূল ভয় পেয়েছে। কারণ যে ভুতুড়ে ভোটার রয়েছে, SIR হলে তাঁদের নাম বাদ যাবে। যাঁদের ভোটে এতদিন তৃণমূল জিতেছে, সেই ভোটার তারা পাবে না। মুন্না আগরওয়ালের নাম যদি না থাকে তার দায় বিজেপির নয়। ২০০২ সালে এই রাজ্যে বামফ্রন্ট সরকার ছিল।”