Governor C V Ananda Bose: উপাচার্য নিয়োগ হতেই প্রতিরক্ষার চাকরিতে ‘গ্রিন সিগন্যাল’ পেলেন সায়ন
Governor C V Ananda Bose: গতকাল ১৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তবর্তী উপাচার্য নিয়োগ করেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। উপাচার্যহীন থাকায় প্রশাসনিক কাজ আটকে ছিল এই সব বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে। পড়ুয়ারাও ডিগ্রির সার্টিফিকেট পাচ্ছিলেন না বলে অভিযোগ উঠেছিল।

হুগলি: বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই উপাচার্য। সেই কারণে মিলছিল না সার্টিফিকেট। যার জেরে আটকে ছিল কেন্দ্র সরকারের চাকরি। তবে রাজভবনের হস্তক্ষেপে সোমবার ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট ইউনিভার্সিটিতে নিয়োগ হয় অস্থায়ী উপাচার্য। আর ভিসি নিয়োগ হতেই মিলল সার্টিফিকেট। এখন আর চাকরি পেতে কোনও অসুবিধাই হবে না বলছেন চুঁচুড়ার যুবক সায়ন কর্মকার। ইতিমধ্যেই রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসকে ধন্যবাদ জানিয়ে চিঠি লিখে ফেলেছেন তিনি।
গতকাল ১৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তবর্তী উপাচার্য নিয়োগ করেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। উপাচার্যহীন থাকায় প্রশাসনিক কাজ আটকে ছিল এই সব বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে। পড়ুয়ারাও ডিগ্রির সার্টিফিকেট পাচ্ছিলেন না বলে অভিযোগ উঠেছিল। সম্প্রতি চুঁচুড়ার দক্ষিণায়নের বাসিন্দা সায়ন কর্মকারও এই রকমই অভিযোগ করে রাজভবনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন।
সায়ন কেন্দ্রীয় সরকারের ডিআরডিও-তে পরীক্ষা দিয়ে মেধাতালিকায় এক নম্বরে জায়গা করে নেন। ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশন করে চাকরিতে তিনি যোগ দিতে পারবেন বলে চিঠি পাঠায় DRDO। কিন্তু সেখানেই আটকে যান তিনি। কারণ উপাচার্যহীন বিশ্ববিদ্যালয়। ফলে নেই সার্টিফিকেট।
সায়ন কর্মকার বিজ্ঞান নিয়ে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেছেন। এরপর বিটেক করেন। ২০১৭-১৮ সালে ফটোগ্রাফি অ্যান্ড ভিডিয়ো প্রোডাকশন নিয়ে ডিপ্লোমা করেছেন। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে DRDO তে টেকনিক্যাল ফটোগ্রাফার টেকনিশিয়ান পদের জন্য পরীক্ষায় বসেন। লিখিত পরীক্ষায় পাশ করেন। ৩ এপ্রিল পুণেতে রিসার্চ ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার্সে গিয়ে মৌখিক পরীক্ষা দেন। ৭ মে রেজাল্ট বের হয়। ওই মাসেরই ১২ তারিখে ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশনের চিঠি আসে। তারপর ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট ইউনিভার্সিটিতে একাধিকবার যাতায়াত করেও মেলেনি ডিপ্লোমার শংসাপত্র। কেন্দ্রীয় সরকারের চাকরি আটকে রয়েছে বলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে প্যাডে লিখে শংসাপত্র দেওয়া হয়। তবে উপাচার্যের সই ছিল না বলে সেই শংসাপত্র গ্রহণ করেনি ডিআরডিও। শেষে উপায় না দেখে রাজভবনের দ্বারস্থ হন সায়ন।
সায়ন বলেন, “২৭ মে ২০২৩ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য নেই, সহউপাচার্য, ডিনও নেই।আমার মত অনেক ছাত্রই পরীক্ষায় পাশ করে বসে আছে কিন্তু শংসাপত্র পায়নি।আর আমি সংশপত্র না পেলে আমার চাকরিটাই হয়তো হবেনা। তাই বাধ্য হয়ে রাজ্য পালের কাছে গিয়েছিলাম। রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা হয়নি। আমি রাজ্যপালের অফিসে একটি আবেদন পত্র দিয়ে এসেছি যাতে দ্রুত উপাচার্য নিয়োগ করা হয় ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট ইউনিভার্সিটি সহ রাজ্যের উপাচার্য নেই এমন সব বিশ্ববিদ্যালয়।”
প্রসঙ্গত, রাজ্যের শিক্ষা দফতরকে না জানিয়ে উপাচার্য নিয়োগ হওয়া নিয়ে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত এখন চরমে। গতকাল এক্তিয়ার বুঝিয়ে একেবারে সরাসরি রাজভবনকে চিঠিও দেয় শিক্ষাদফতর।
