Student Death: ‘তুমি খেয়ে নাও…’ বলে ঘরে গিয়েছিল, আর বেরোয়নি শুভেচ্ছা, বাবা-মা’র সম্পর্কই কি কাল হল!

Tanmoy Bairagi | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Jun 14, 2024 | 8:01 PM

Student Death: মৃত ছাত্রীর মায়ের দাবি, তাঁর স্বামী মা-মেয়ের উপর মানসিক অত্যাচার চালাতেন। আর তা সহ্য করতে না পেরেই মেয়ে চরম সিদ্ধান্ত নেন। যদিও তাঁর বাবার দাবি, তিনি স্ত্রী ও মেয়েকে খুবই ভালবাসতেন, কিন্তু দু-আড়াই বছর আগে তাঁর স্ত্রী তাঁকে আরামবাগের ভাড়া বাড়ি থেকে বের করে দেন।

Student Death: তুমি খেয়ে নাও... বলে ঘরে গিয়েছিল, আর বেরোয়নি শুভেচ্ছা, বাবা-মার সম্পর্কই কি কাল হল!
মৃত ছাত্রী
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

আরামবাগ: এক ছাত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে আরামবাগ শহরের রামকৃষ্ণ পল্লীতে। মৃত ছাত্রীর নাম শুভেচ্ছা দত্ত। আরামবাগ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে বায়োসায়েন্স নিয়ে দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ত সে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, বাবা-মায়ের মধ্যে অশান্তির জন্যই মানসিক চাপে ছিল ওই ছাত্রী। সেটা সহ্য করতে না পেরেই সে নিজেকে শেষ করে দেয়! ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। মৃত্যুর আসল কারণ বোঝার চেষ্টা করছে পুলিশ।

প্রতিবেশী ও আত্মীয়রা জানিয়েছেন, দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে বাবা-মায়ের মধ্যে অশান্তি লেগেই থাকত। মৃত ছাত্রীর মা শম্পা দত্ত আরামবাগে বাড়ি ভাড়া নিয়ে মেয়ের সঙ্গে বাস করতেন। তার বাবা থাকেন রামনগরে।

বৃহস্পতিবার রাতে শুভেচ্ছা তার মাকে বলে, ‘তুমি খেয়ে নাও আমি পরে খাচ্ছি।’ এরপর নিজের ঘরে চলে যায় সে। অনেকক্ষণ পর কোনও সাড়া না পেয়ে ছাত্রীর ঘরে গিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায় তার মা। চেঁচামেচিতে ছুটে আসে এলাকাবাসী। ছাত্রীকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

এই ঘটনায় পরিবারের নেমে এসেছে শোকের ছায়া। মেয়ের মৃত্যুর ঘটনায় হাসপাতাল চত্বরে কান্নায় ভেঙে পড়েন মৃত ছাত্রীর মা সহ আত্মীয়রা।

মৃত ছাত্রীর মায়ের দাবি, তাঁর স্বামী মা-মেয়ের উপর মানসিক অত্যাচার চালাতেন। আর তা সহ্য করতে না পেরেই মেয়ে চরম সিদ্ধান্ত নেন। যদিও তাঁর বাবার দাবি, তিনি স্ত্রী ও মেয়েকে খুবই ভালবাসতেন, কিন্তু দু-আড়াই বছর আগে তাঁর স্ত্রী তাঁকে আরামবাগের ভাড়া বাড়ি থেকে বের করে দেন। তারপর থেকেই তিনি আরামবাগের রামনগরে গ্রামের বাড়িতে থাকতেন। তাঁর আরও দাবি, মেয়ের মৃত্যুর আসল কারণ তদন্ত করে দেখা হোক।

Next Article