Hooghly: ভেঙে পড়ছে চাঙড়, জলের হাত থেকে বাঁচতে সিলিংয়ে ঝুলছে বালতি, এ কেমন সরকারি আবাসন?

Aug 01, 2024 | 9:18 PM

Hooghly: ঘরে ঢুকতেই দেখা যাচ্ছে একাধিক ঘরে ছাদ থেকে ছুঁইয়ে ছুঁইয়ে পড়ছে জল। আর তা থেকে বাঁচতে কেউ মেঝেতে রেখেছেন বালতি, কেউ আবার ফ্যানের মতো করে সিলিংয়েই ঝুলিয়ে দিয়েছেন। অভিযোগ, শোওয়ার ঘরে প্রায়শই ভেঙে পড়ে চাঙড়।

Hooghly: ভেঙে পড়ছে চাঙড়, জলের হাত থেকে বাঁচতে সিলিংয়ে ঝুলছে বালতি, এ কেমন সরকারি আবাসন?
ক্ষোভে ফুঁসছেন আবাসনের বাসিন্দারা
Image Credit source: TV-9 Bangla

Follow Us

চুঁচুড়া: বর্ষায় ঘরে পড়ে জল, পানীয় জলেও ‘বালি’, রুগ্ন সরকারি আবাসনে শুধুই ‘জোড়া তালি’! ঘরের ভেজা দেওয়ালে বিদ্যুৎ-বিপর্যয়ের ভয়। ছাদ থেকে ভাঙছে চাঙড়। জঞ্জালে ভরেছে আবাসনের আশপাশের এলাকা। বিপদ মাথায় বাস আর কতদিন? বদলাবে চুঁচুড়ার আমড়াতলার সরকারি আবাসনের দুর্দশার ছবিটা? শত শত অভিযোগের মধ্যে প্রশ্নটা তো ঘুরছে সেই কবে থেকেই, উত্তর কিন্তু নেই। আবাসনের বাসিন্দারা বলছেন, যে জল আমরা পাই তা আসলে বাসন মাজারও জল নয়। অফিসে জানালে ওরা আবার অন্য সব একাধিক ডিপার্টমেন্ট দেখিয়ে দেয়।  

জেলার বিভিন্ন প্রান্তে যে সমস্ত সরকারি কর্মচারিরা পরিষেবা দিয়ে থাকেন তাঁদের মধ্যে অনেকেই থাকেন এই সব সরকারি আবাসনে। পরিবার নিয়ে বাস। অনেক পুলিশ কর্মীও থাকেন পরিবার নিয়ে। কিন্তু, ভাঙা ঘরে ভাঙা মন নিয়ে আর কতদিন? প্রশ্ন তুলছেন আবাসনের বাসিন্দারাই। শুধু আমড়াতলা কিন্তু নয়, পিপুুলপাতি থেকে শুরু করে রবীন্দ্রনগর, চুঁচুড়ার নানা প্রান্তে রয়েছে এই ধরনের সরকারি আবাসন। তারমধ্যে আমড়াতলার আবাসনের ছবি দেখে চোখ কপালে তুলছেন অনেকেই। 

ঘরে ঢুকতেই দেখা যাচ্ছে একাধিক ঘরে ছাদ থেকে ছুঁইয়ে ছুঁইয়ে পড়ছে জল। আর তা থেকে বাঁচতে কেউ মেঝেতে রেখেছেন বালতি, কেউ আবার ফ্যানের মতো করে সিলিংয়েই ঝুলিয়ে দিয়েছেন। অভিযোগ, শোওয়ার ঘরে প্রায়শই ভেঙে পড়ে চাঙড়। আবাসনের এক বাসিন্দা বলছেন, “ঘরে শুতে ভয় লাগে। বালতি ঝুলিয়ে রেখেছি কারণ যাতে খাটটা না ভেসে যায়। উপায় নেই। এভাবেই থাকতে হচ্ছে। বৃষ্টি হলেই দিন বহুবার জল ফেলতে হয়। আমরা এই ফ্ল্যাটে প্রায় ৮ বছর আছি। তবে শুধু আমাদের ফ্ল্যাটেই যে এমন অবস্থা এমনটা নয়, প্রায় সব ফ্ল্যাটেই একই অবস্থা। টাকা দিয়ে থাকি। কিন্তু, সমস্যার কথা জানালেও কাজের কাজ কিছু হয় না।” আর এক বাসিন্দা বলছেন, “জলের অবস্থা তো খুবই খারাপ। জলের ট্যাঙ্ক তো পরিষ্কার হয় না। সাপ না ব্যাঙ পড়ে আছে কেউ জানতে পারি না। বছরে হয়তো একবার পরিষ্কার হয়।” এরইমধ্যে আবার TV9 বাংলার কাছে খবর পেয়ে, ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার। 

Next Article