‘আমার বাবাও যদি হাসপাতালে ভর্তি হয়…’, নার্সদের ঠিক কী বোঝালেন রচনা

Rachna Banerjee: কয়েকদিন আগে চুঁচুড়ার ইমামবাড়া জেলা হাসপাতালে গিয়েছিলেন সাংসদ। সেখানেও অবস্থা দেখে বলেছিলেন, 'এত নোংরা কেন?' বৃহস্পতিবার পাণ্ডুয়ার গ্রামীণ হাসপাতালে যান তৃণমূল সাংসদ।

আমার বাবাও যদি হাসপাতালে ভর্তি হয়..., নার্সদের ঠিক কী বোঝালেন রচনা
হাসপাতালে রচনাImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Aug 01, 2024 | 6:38 PM

পাণ্ডুয়া: সদ্য হুগলির সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন রচনা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। লোকসভার অধিবেশনে যোগ দিতে দিল্লিও গিয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকে ফিরেই রচনা পৌঁছে গেলেন পাণ্ডুয়ায়। সোজা পৌঁছে গেলেন গ্রামীণ হাসপাতালে। অভিনেত্রী তথা সাংসদকে দেখতে স্বাভাবিকভাবেই ভিড় বাড়ে হাসপাতালে। রোগীর পরিজনেরাও ছুটে যান। এগিয়ে আসেন নার্স ও হাসপাতালের অন্যান্য কর্মীরা।

তবে এত ভিড় মোটেই পছন্দ হয়নি সাংসদের। ঢুকেই তিনি বলেন, “এত ভিড় কেন? ভিড় কমাতে কী ব্যবস্থা করা উচিত, সেই পরামর্শও এদিন তিনি দিয়েছেন।” রচনা জানান, কলকাতার হাসপাতালে যে রকম ব্যবস্থা হয়, তেমন ব্যবস্থা থাকা উচিত। রচনা পরামর্শ দেন, রোগীর পরিজনদের জন্য টিকিটের ব্যবস্থা করতে হবে। একজনের বেশি রোগীর কাছে যেতে পারবেন না। জুতো পরে চলাচল বন্ধ করতে হবে। হাসপাতালে গেটে নিরাপত্তারক্ষী বসানোর পরামর্শও দেন তিনি। একমাস পর ফের যাবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন রচনা।

কয়েকদিন আগে চুঁচুড়ার ইমামবাড়া জেলা হাসপাতালে গিয়েছিলেন সাংসদ। সেখানেও অবস্থা দেখে বলেছিলেন, ‘এত নোংরা কেন?’ বৃহস্পতিবার পাণ্ডুয়ার গ্রামীণ হাসপাতালে যান তৃণমূল সাংসদ। সেখানে তাঁর সঙ্গে ছিলেন পাণ্ডুয়ার স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। রচনা জানিয়েছেন, ৫ বছরে হাসপাতালের পরিস্থিতি উন্নত করার চেষ্টা করবেন তিনি।

একজনের জন্য ১০ জন কেন প্রবেশ করবেন, সেই প্রশ্ন করেন রচনা। তিনি উদাহরণ দিতে গিয়ে বলেন, “আমার মতো একজন আর্টিস্ট যদি বাবাকে হাসপাতালে ভর্তি করে, তাহলেও দুজনকে অনুমতি দেওয়া হয় না। আমি গেলে আমার মা নীচে বসে থাকেন, আর মা গেলে আমি বসে থাকি।” এমন ব্যবস্থাই করার কথা বলেছেন রচনা।