Hooghly: তৃণমূল নেতা খুনে ১ জনের ফাঁসি, ১৮ জনের যাবজ্জীবন
Hooghly: ২০১১ সালের ৯ ডিসেম্বর মৃত শেখ নইমুদ্দীনের স্ত্রী তাহেরা বেগম গোঘাট থানায় ৩০ জনের নামে অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা শুরু হয়। অভিযুক্ত চারজন ইতিমধ্যেই মৃত। ২৬ জনের নামে মামলা চলতে থাকে।

আরামবাগ: তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনায় ১ জনের ফাঁসি ও ১৮ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল আরামবাগ মহকুমা আদালত। এলাকারই তৃণমূল কর্মী বলদেব পালের ফাঁসির নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এলাকার তথাকথিত তৃণমূল নেতা সাহেব পাল, প্রাক্তন প্রধান তাপস খাঁ সহ ১২ জন ও বামপন্থী ৬ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।
২০১১ সালের ৯ ডিসেম্বর মৃত শেখ নইমুদ্দীনের স্ত্রী তাহেরা বেগম গোঘাট থানায় ৩০ জনের নামে অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা শুরু হয়। অভিযুক্ত চারজন ইতিমধ্যেই মৃত। ২৬ জনের নামে মামলা চলতে থাকে। সোমবার তারিখে আরামবাগ মহকুমা আদালত এই মামলা থেকে সাত জনকে অব্যাহতি দেয় ও ১৯ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে হেফাজতে নেয়।
হুগলি জেলা মুখ্য সরকারি আইনজীবী শঙ্কর গঙ্গোপাধ্যায় জানান, ২০১১ সালের ৯ ডিসেম্বর গোঘাটের সাওড়া ইউনিয়ন হাই স্কুলের পরিচালন সমিতির মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল। আর তা নিয়ে গন্ডগোল বাধে। তখনই গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় তৃণমূল নেতা শেখ নইমুদ্দিনের। এই ঘটনায় নঈমুদ্দিনের স্ত্রী গোঘাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। এতদিন ধরে বিভিন্ন সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে এতদিন ধরে সেই মামলা চলছিল। সোমবার আরামবাগ মহকুমা অ্যাডিশনাল জেলা সেশন জজ বিচারক কিষেন কুমার আগরওয়াল ১৯ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেন। সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে ৬জন সিপিএম ১জন ফরোয়ার্ড ব্লক ও ১১জন তৃণমূল কর্মী। ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত বলদেব পাল ও তৃণমূল কর্মী। যদিও বাম নেতৃত্বের দাবি, তাদের কর্মীদের ফাঁসানো হয়েছে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে খুনের ঘটনায়। তারা উচ্চ আদালতে যাবেন।

