AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Hooghly: দাঁড়িয়ে রইল পুলিশ, উল্টোরথের আগের রাতেই দরজা ভেঙে প্রভু জগন্নাথের ভান্ডার লুঠ

Hooghly: উল্টো রথের আগের শতাব্দী প্রাচীন এই ভান্ডার লুঠের রীতি চালু রয়েছে এখানে।জগন্নাথ দেবের গুপ্তিপাড়ার ২৮৬ বছরের প্রাচীন রথের একটি বৈশিষ্ট্য ভান্ডার লুঠ। রথের দিন জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা রথে চেপে গুপ্তিপাড়া বড়বাজারে মাসির বাড়ি এসে পৌঁছয়। মাসির বাড়ি থাকাকালীন উল্টোরথের আগের দিন, শুক্রবার এই ভান্ডার লুঠের অনুষ্ঠানে মেতে ওঠে গুপ্তিপাড়া তো বটেই তার সাথে পাশ্ববর্তী এলাকার মানুষ।

Hooghly: দাঁড়িয়ে রইল পুলিশ, উল্টোরথের আগের রাতেই দরজা ভেঙে প্রভু জগন্নাথের ভান্ডার লুঠ
জগন্নাথ পুজো Image Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Jul 04, 2025 | 8:42 PM
Share

হুগলি: রাত পোহালেই উল্টো রথ! আর তার আগেই ভয়ঙ্কর ঘটনা। দরজা ভেঙে প্রভু জগন্নাথের ভান্ডার লুঠ গুপ্তিপাড়ায়। আর নিরব দর্শকের ভূমিকায় পুলিশ, অভিযোগ তেমনই।

হুগলির গুপ্তিপাড়া বড়বাজার জগন্নাথ দেবের মাসির বাড়িতে তখন থরে থরে দাঁড়িয়ে পুলিশ আর জনতা। অপর দিকে দরজা ভেঙে লুঠ পাঠের চেষ্টা চলছে মন্দিরে।এই দৃশ্য শুধু মাত্র দেখা যায় উল্টো রথের আগের দিন গুপ্তিপাড়াতে। প্রায় শ’খানেক স্থানীয় মানুষ গায়ে তেল মেখে জগন্নাথের প্রসাদ লুঠ করতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যান। যতক্ষন না ভোগের মালসা হস্তগত করছেন লড়াই ততক্ষণ চলে কেউ একটা কেউ বা একাধিক ভোগের মালসা নিয়ে জয়ের আনন্দে পা বাড়ান বাড়ির পথে।

এ বছর প্রায় ৮০০ ভোগের মালসা রাখা হয় লুঠ পাঠের জন্য রথ পরিচালন কমিটির পক্ষ থেকে। ভান্ডার লুঠ শুরু হতেই কয়েক মিনিটের মধ্যেই ফাঁকা হয়ে যায় ৮০০ মালসা ।ভোগের প্রসাদ পান উপস্থিত ভক্তরাও।

উল্টো রথের আগের শতাব্দী প্রাচীন এই ভান্ডার লুঠের রীতি চালু রয়েছে এখানে।জগন্নাথ দেবের গুপ্তিপাড়ার ২৮৬ বছরের প্রাচীন রথের একটি বৈশিষ্ট্য ভান্ডার লুঠ। রথের দিন জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা রথে চেপে গুপ্তিপাড়া বড়বাজারে মাসির বাড়ি এসে পৌঁছয়। মাসির বাড়ি থাকাকালীন উল্টোরথের আগের দিন, শুক্রবার এই ভান্ডার লুঠের অনুষ্ঠানে মেতে ওঠে গুপ্তিপাড়া তো বটেই তার সাথে পাশ্ববর্তী এলাকার মানুষ।

পৌরাণিক কাহিনী থেকে জানা গিয়েছে , দ্বিতীয়ার রথে চেপে মাসির বাড়ি যায় জগন্নাথ। জগন্নাথের সেবাইত গোপাল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “জগন্নাথ মাসির বাড়ি বেড়াতে এসে ভালো মন্দ খেয়ে নিজের বাড়ি যেতে ভুলে যান। তখন হর পঞ্চমীর দিন লক্ষ্মী সরষে পোড়া দিতে আসেন। দাদা যাতে তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরে যান তার জন্য বশীকরণ করেন লক্ষ্মী। তখনও বাড়ি ফিরতে চান না জগন্নাথ। এরপর বৃন্দাবন চন্দ্র তার ভাইকে সঙ্গে নিয়ে ও কিছু লেঠেল নিয়ে আসেন। জগন্নাথ যেখানে থাকেন সেই মন্দিরের তিনটি দরজা ভাঙার চেষ্টা করেন লিঠেলরা। কারণ সেখানে পঞ্চবাঞ্জো-সহ বিভিন্ন মিষ্টান্ন রাখা থাকে ভান্ডারে। মন্দিরের দরজা ঠেলে সেই সমস্ত ভান্ডার লুট করে নিয়ে যায় । তখন মাসির বাড়িতে আর কিছু না থাকার জন্য পরদিন চিড়ে, মুড়কি, ফলার খেয়ে উল্টো রথের দিন নিজের বাড়িতে ফিরে যান জগন্নাথ। আর এই রীতি চলে আসছে বহু প্রাচীনকাল থেকে।”

আর এই ভান্ডার লুঠে হুগলি গ্রামীণ পুলিশের ডিএসপি ক্রাইম অভিজিৎ সিনহা মহাপাত্র সহ প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা ছিল। অভিজিৎ সিনহা বলেন,  “প্রতিবছরই এই অনুষ্ঠান হয়। নিরাপত্তার কোনও খামতি রাখা হয়নি। গত বছরের থেকেও এবছরে আরও বেশি পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। ড্রোন ক্যামেরায় নজরদারি রাখা হচ্ছে। মানুষের যাতে কোনো অসুবিধা না হয় তার জন্য ব্যারিকেড করে রাখা হয়েছে। মানুষ এখানে মনোরঞ্জনের জন্য আসে, খুব ভালো হয়। পুলিশের সামনে ভান্ডার লুঠ প্রসঙ্গে বলেন, জগন্নাথের ব্যাপার, সবই প্রভুর ইচ্ছা।”