তারকেশ্বর: আবারও বাংলায় গণপিটুনিতে মৃত্যুর অভিযোগ। চোর সন্দেহে গণপিটুনির জেরে মৃত্যু হল এক যুবকের। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির তারকেশ্বর থানার নাইটা মাল পাহাড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রানাবাঁধ এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম বিশ্বজিৎ মান্না(২৩), তিনি পেশায় গাড়ির চালক। শুক্র, শনি, রবি-পরপর তিন দিন বাংলায় গণপিটুনিতে মৃত্যুর অভিযোগ উঠল। উদ্বিগ্ন প্রশাসনও।
পরিবারের অভিযোগ, রবিবার রাতে বিশ্বজিৎকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় এলাকারই কয়েকজন যুবক। একটি গাড়ি খোওয়া গিয়েছে। গাড়ি চোর সন্দেহে তুলে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ ওঠে বিকাশ সামন্ত, তাঁর ছেলে দেবকান্ত সামন্ত ও আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে।
মৃত বিশ্বজিৎ এর মায়ের বক্তব্য, চোর সন্দেহে তাঁকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়। তাঁর কথায়, “ছেলে চুরি করেনি বলে, বারবার আকুতি মিনতি করেছে। তাঁর কোনও কথাই শোনা হয়নি।” বেধড়ক মারে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন বিশ্বজিৎ। পরে পরিবারের সদস্যরা তাঁকে উদ্ধার করে রাত দুটো নাগাদ তারকেশ্বর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করান। চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনায় অভিযুক্ত বিকাশ সামন্ত, তাঁর ছেলে দেবকান্ত সামন্তকে আটক করেছে তারকেশ্বর থানার পুলিশ।
অন্যদিকে, শনিবারই পাণ্ডুয়ায় মনসা পুজোর মাইক বাজানো নিয়ে বিবাদের জেরে এক যুবককে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠেছে। রাস্তায় ফেলে বাঁশ দিয়ে পেটানো হয় বলে অভিযোগ। রক্তবমি শুরু হয় ওই যুবকের। তার এক দিনের মধ্যেই যুবকের মৃত্যু হয়। মৃত যুবকের স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা। অভিযুক্তদের ফাঁসির দাবি তুলেছেন মৃতের স্ত্রী। গত শুক্রবারই ঝাড়গ্রামে চোর সন্দেহে ২ যুবককে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে। তাঁদের মধ্যে এক জনের মৃত্যু হয়েছে। অপরজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গত তিন দিনে মোট ৫ জনের মৃত্যুর খবর আসছে। গত কয়েক দিনে বাংলার একাধিক জায়গায় গণপিটুনির অভিযোগ উঠছে। কোথাও ছেলেধরা সন্দেহে, কোথাও চোর সন্দেহে গণপিটুনির অভিযোগ উঠছে। পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগে রয়েছে প্রশাসনও।