TMC MLA personal seretary arrested: বিস্ফোরক অভিযোগ! শুধু আর্থিক তছরূপই নয় পাড়ার মেয়ের শ্লীলতাহানিও করেছেন সোহমের আপ্ত-সহায়ক

Soham Chakrabarty: নির্যাতিতা তরুণীর মা বলেন, "দুর্গা পুজোর সময় আমার মেয়েকে পুজো প্যান্ডেলের পিছনে ডেকে নিয়ে যায়। তারপর নোংরামি করার চেষ্টা করে।"

TMC MLA personal seretary arrested: বিস্ফোরক অভিযোগ! শুধু আর্থিক তছরূপই নয় পাড়ার মেয়ের শ্লীলতাহানিও করেছেন সোহমের আপ্ত-সহায়ক
সজল মুখার্জী (নিজস্ব ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Feb 15, 2022 | 5:38 PM

হুগলি: সোমবার গ্রেফতার হন তৃণমূল বিধায়ক সোহম বিধায়ক সোহম চক্রবর্তীর (Soham chakrabarty) আপ্ত সহায়ক সজল মুখোপাধ্যায়। বিকেলে সোহমের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে সজল মুখোপাধ্যায় নামে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুর থানার পুলিশ। মঙ্গলবার তাঁকে তমলুক মহকুমা আদালত পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয়। সজলের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। তবে শুধু আর্থিক তছরূপই নয় পাড়ারই এক তরুনীর শ্লীলতাহানি অভিযোগ রয়েছে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ফলত, পুরসভা ভোটের আগে তৃণমূল বিধায়কের আপ্তসহায়ক গ্রেফতারে কোন্নগরে রাজনৈতিক তরজা জমে উঠেছে।

মঙ্গলবার কোন্নগরের নির্যাতিতা তরুণীর মা বলেন, “দুর্গা পুজোর সময় আমার মেয়েকে পুজো প্যান্ডেলের পিছনে ডেকে নিয়ে যায়। তারপর নোংরামি করার চেষ্টা করে। শ্লীলতাহানী করা হয় আমার মেয়ের। আমরা জানতে পেরে ওকে ধরে পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যাই। সেদিনই ওর হাত-পা ভেঙে দিতাম। শুধু প্রতিবেশি দাদা ডাকি বলে তাই সেদিন ছেড়ে দিয়েছিলাম।”

এদিকে, সজল গ্রেফতার হতেই তার বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিজেপিও। কোন্নগরের বিজেপি নেত্রী কৃষ্ণা ভট্টাচার্য বলেন, “তৃণমূলে এরকম সজল অনেক আছে। ভাগের গণ্ডগোলের জন্য হয়ত গ্রেফতার হয়েছে। গ্রেফতার হয়েছে এটা বিশাল বড় ব্যাপার নয়। কারণ কোন্নগরে এমন তৃণমূলের তোলাবাজ অনেক পাওয়া যাবে।” তবে, তৃণমূল কোন্নগর শহর সভাপতি রমাপ্রসাদ ব্যানার্জী বলেন, “সজল মুখার্জী দলের সক্রিয় কর্মী নয়। মাঝেমধ্যে আসে মাঝে মধ্যে উধাও হয়ে যায়। কেউ অন্যায় করলে তার জন্য আইন আছে। আমরা বলব কেউ বেআইনি কাজ করবেন না। তাহলে দল ও প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে।”

চণ্ডীপুরে গতকাল সজল মুখার্জী গ্রেফতারের পর আজ তার একটি পুরোনো ভিডিও ভাইরাল হয়। মুদিখানা দোকানে বাকি থাকা টাকা চাওয়ায় ক্লাবের ছেলেদের নিয়ে গিয়ে হুমকি দেখা যায় সজলকে। প্রসঙ্গত, গতকাল একটি ভিডিয়ো বার্তায় সোহম জানান, কাজের জন্য যখন কখনও-কখনও চণ্ডীপুরের বাইরে থাকতে হত তাঁকে, সেই সময় অফিসের সমস্ত ভার ছিল সজলের। সেই সুযোগকেই কাজে লাগিয়ে বহু মানুষের কাছ থেকে টাকা নেয় ওই ব্যক্তি। কখনও চাকরি পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস, আবার কখনও উঁচু পদে বসিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে টাকা নিতেন লোকের কাছ থেকে বলে দাবি সোহমের। এমনকী বিষয়টি সোহম জেনে গেলে তাঁকেও সজল ব্ল্যাকমেল করতেন বলেই অভিযোগ করেছেন তৃণমূল এই বিধায়ক। জানা গিয়েছে, সোহমের একটি গাড়ি সজল ব্যবহার করতেন। পরে সেটি সোহমকে ফিরিয়ে দিতেও অস্বীকার করেন তিনি। গাড়ির চাবি হস্তান্তরের জন্য ৪ লক্ষ টাকাও চান সোহমের আপ্ত সহায়ক। এরপরই সোহম প্রশাসনের দ্বারস্থ হন।

আরও পড়ুন: Cow Smuggling Case: এনামূলকে চিনতেনই না, সিবিআইয়ের কাছে দাবি দেবের