চন্দ্রযান-৩ মিশনে ছিলেন মানকুন্ডুর শুভ্রদীপ, যাদবপুরের প্রাক্তনীর পরিবার জানালেন বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে তাঁদের মত

Ashique Insan | Edited By: অংশুমান গোস্বামী

Aug 26, 2023 | 9:43 PM

প্রবীর ও রিনার এক মাত্র ছেলে শুভ্রদীপ শ্রীরামপুরের মাহেশ রামকৃষ্ণ আশ্রম স্কুল থেকে পড়াশোনা শেষ করে যাদবপুরে ভর্তি হয়েছিলেন। সেখান থেকে ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন নিয়ে বিটেক পাশ করার পর আইআইটি খড়গপুর থেকে মাস্টার্স করেন।

চন্দ্রযান-৩ মিশনে ছিলেন মানকুন্ডুর শুভ্রদীপ, যাদবপুরের প্রাক্তনীর পরিবার জানালেন বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে তাঁদের মত
শুভ্রদীপ ও তাঁর বাবা-মা।
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

মানকুন্ডু: সফলভাবে চাঁদের দক্ষিণ মেরু অঞ্চলে নেমেছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর পাঠানো চন্দ্রযান। শতাধিক বিজ্ঞানীর দীর্ঘদিনের পরিশ্রমের জেরেই ভারতের মহাকাশ গবেষণার মুকুটে এই পালক যোগ হয়েছে। ইসরোর চন্দ্রযান ৩ মিশনে জড়িত ছিলেন একাধিক বাঙালি বিজ্ঞানীও। তার মধ্যে রয়েছেন হুগলির মানকুন্ডুর গ্রিন পার্কের বাসিন্দা শুভ্রদীপ দে। শুভ্রদীপ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী। তাঁর বাবা প্রবীর দে এবং মা রিনা দে দুজনেই রেলকর্মী। চন্দ্রায়ন ৩ মিশনের সাফল্যে ছেলের অবদান যেমন তাঁদেরকে গর্বিত করেছে, তেমনই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় ব্যথিত তাঁরা।

প্রবীর ও রিনার এক মাত্র ছেলে শুভ্রদীপ শ্রীরামপুরের মাহেশ রামকৃষ্ণ আশ্রম স্কুল থেকে পড়াশোনা শেষ করে যাদবপুরে ভর্তি হয়েছিলেন। সেখান থেকে ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন নিয়ে বিটেক পাশ করার পর আইআইটি খড়গপুর থেকে মাস্টার্স করেন। আইসিআরভি পরীক্ষায় সফল হয়ে ইসরোয় বিজ্ঞানী হিসাবে বিক্রম সারাভাই স্পেস রিসার্চ সেন্টারে যোগ দেন ২০১৮ সালে। সেখান থেকে ইসরোয়। চন্দ্রযান ৩ মিশনে ডপলার ওয়েদার র‍্যাডার নিয়ে কাজ করেছেন তিনি।

শুভ্রদীপের বাবা প্রবীর দে বলেন, “চন্দ্রযান ২ অসফল হওয়ায় খুব চিন্তা ছিল চন্দ্রযান ৩ নিয়ে। তখন ছেলে বলেছিল, সফ্ট ল্যান্ডিংয়ের কথা। আমরা অত বুঝি না। তবে মনে হয়েছিল এবার সফল হবে ইসরো। অভিভাবক হিসেবে যাদবপুরের এই ঘটনা কেউই মেনে নেব না। আমার ছেলে যখন পড়ত, তখন অবশ্যই এই ধরনের কোনও কথা ছেলে বলেনি। জয়েন্টে প্রথম দিকে যাদের র‍্যাঙ্ক থাকে তারাই তো এখানে ভর্তি হয়।” শুভ্রদীপের মা রীনা দে বলেন, “যাদবপুরের ঘটনায় ভীষণ কষ্ট পেয়েছি। যাদবপুর সম্বন্ধে আমার ভীষণ ভালো ধারণা। আমি নিজে গিয়েছি ছেলের সঙ্গে দেখা করতে। কখনও এরকম দেখিনি। শুনেছি ওদের মধ্যে অনেক একতা ছিল। রাত জেগে পড়াশোনা করত। সিনিয়র দাদারা গাইড করতো। কেউ কিছু বুঝতে না পারলে সেগুলো সিনিয়র দাদারা বুঝিয়ে দিত। আমার ছেলে হস্টেলে থাকত না, পিজিতে থাকতো। তবে সিনিয়র দাদারা তাদের গাইড করেছে। র‍্যাগিং বন্ধ করা উচিত। মেধাবী বলেই তো যাদবপুরে সুযোগ পেয়েছে। কারও সঙ্গে এই ধরনের ঘটনা হোক কেউ চায় না।” বিক্রম চাঁদে নামার সময় তিনি চিন্তায় ছিলেন বলেও জানিয়েছেন।

Next Article