AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Hooghly: বন্ধ কারখানায় আবার জ্বলবে আলো, আবার জুটবে কাজ! হিন্দমোটরে আশায় বুক বাঁধছে মানুষ

Hooghly: কারখানা সম্প্রসারণের প্রয়োজন হয়ে পড়েছে টিটাগড় রেল সিস্টেমের। তাই রাজ্য সরকারের কাছে জমির আবেদন জানানো হয়েছিল। ২০২২ সালে হিন্দুস্থান মোটরসের জমি অধিগ্রহণ করেছিল রাজ্য সরকার।

Hooghly: বন্ধ কারখানায় আবার জ্বলবে আলো, আবার জুটবে কাজ! হিন্দমোটরে আশায় বুক বাঁধছে মানুষ
কারখানায় বসল নিরাপত্তারক্ষীImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Jul 14, 2025 | 9:42 PM
Share

হুগলি: একসময় বাংলার এই কারখানায় তৈরি হত গাড়ি। ঝলমল করত আলো। কাজ করতেন কয়েক হাজার মানুষ। সেই কারখানা থেকে অ্যাম্বাসাডর তৈরি হয়ে যেত দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। তবে আজ দেখে চেনার উপায় নেই। না আছে আলো, না শোনা যায় কোনও শব্দ। বছরের পর বছর জঙ্গলে ঢাকছে কারখানা চত্বর। এখনও এলাকার মানুষের মুখে মুখে ফেরে সেই কারখানার কথা। এবার আবারও জ্বলবে আলো!

হুগলির কোন্নগরে ছিল ‘হিন্দুস্থান মোটরস’-এর বিরাট কারখানা। তৈরি হত গাড়ি। সেই কারখানা বন্ধ হয়ে যায় ২০১৪ সালে। অ্যাম্বাসাডর গাড়ি উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর ভূতূড়ে চেহারা নেয় পুরো চত্বর। বর্তমানে জমির একাংশে টিটাগড় ওয়াগন কারখানায় রেলের কোচ তৈরি হয়। মেট্রো রেলের কোচ তৈরির পাশাপাশি ইএমইউ-র এসি কোচ তৈরির বরাতও পায় টিটাগড় ওয়াগন। এবার সেই সংস্থাই হিন্দমোটরের ওই জমির বেশ কিছুটা অংশ নিতে চলেছে।

কারখানা সম্প্রসারণের প্রয়োজন হয়ে পড়েছে টিটাগড় রেল সিস্টেমের। তাই রাজ্য সরকারের কাছে জমির আবেদন জানানো হয়েছিল। ২০২২ সালে হিন্দুস্থান মোটরসের জমি অধিগ্রহণ করেছিল রাজ্য সরকার। সেই জমি থেকে ৪০ একর জমি টিটাগড় ওয়াগনকে লিজ দিল রাজ্য। ইতিমধ্যেই পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে, নিরাপত্তারক্ষীও বসানো হয়েছে ওই জায়গায়।

হিন্দুস্থান মোটর শ্রমিক আন্দোলনের বিজেপি নেতা পঙ্কজ রায় বলেন, “রাজ্য সরকার ও হিন্দুস্থান মোটরের মিলিত চেষ্টায় কারখানার ভবিষ্যৎ অন্ধকার হয়েছে। এখনও প্রায় আড়াইশ শ্রমিক পিএফ- গ্র্যাচুইটি পায়নি। তাদের কথা ভাবেনি সরকার। হিন্দমোটর নিয়ে শ্রমিকরা চাইলে আবারও আন্দোলন হতে পারে।” স্থানীয় সিপিএম নেতা আভাস গোস্বামী বলেন, ‘শিল্পের জমিতে শিল্প চাই। যারা পে রোলে আছে, তাদের কাজের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দিতে হবে।’