AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Singur: কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের নজরে রাজ্যের পঞ্চায়েতগুলিও? রাত্রিবেলা দুর্নীতির ফাইল লোপাটের মারাত্মক অভিযোগ

Hooghly: বুধবার রাতের রাজনৈতিক উত্তাপ ও তার রেশ দীর্ঘায়িত হয়েছে বৃহস্পতির সকাল পর্যন্ত। রাজনীতিতে চাপা উত্তেজনা।

Singur: কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের নজরে রাজ্যের পঞ্চায়েতগুলিও? রাত্রিবেলা দুর্নীতির ফাইল লোপাটের মারাত্মক অভিযোগ
রাতের অন্ধকারে ফাইল লোপাটের অভিযোগ (নিজস্ব ছবি)
| Edited By: | Updated on: Aug 25, 2022 | 3:53 PM
Share

সিঙ্গুর: আইটি, সিবিআই বা ইডি, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির হানায় জেরবার রাজ্যের একাধিক হেভিওয়েটের। এবার কী তাদের থাবা পৌঁছে যাবে পঞ্চায়েতস্তরের দুর্নীতিতেও? সিঙ্গুরের রাজনীতিতে শাসক-বিরোধীর অন্দরে ঘোরাফেরা করছে এরকম একগুচ্ছ প্রশ্ন। সিঙ্গুর বাসুবাটি পঞ্চায়েতে সেই আশঙ্কাতেই নাকি রাতের অন্ধকারে সরানো হচ্ছে দুর্নীতির নথিপত্র। লোপাট হচ্ছে তছরূপের সূত্র, এমনটাই অভিযোগ বিজেপির। বুধবার এনিয়ে গভীর রাত পর্যন্ত বিক্ষোভ দেখায় গেরুয়া শিবির। পরে সিঙ্গুর থানার পুলিশ গিয়ে হটিয়ে দেয় বিক্ষোভকারীদের।

বুধবার রাতের রাজনৈতিক উত্তাপ ও তার রেশ দীর্ঘায়িত হয়েছে বৃহস্পতির সকাল পর্যন্ত। রাজনীতিতে চাপা উত্তেজনা। কারণ বাসুবাটি পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ এনেছে রাজ্যের বিরোধী দল। বিজেপির বক্তব্য, বেশ কিছুদিন ধরে রাতের বেলা খোলা থাকছে পঞ্চায়েতের দরজা। ভিতর আলো জ্বলছে অনেক রাত পর্যন্ত। আড়ালে আবডালে সরানো হচ্ছে দুর্নীতির কাগজপত্র, হিসাবের খাতা ও অন্যান্য জিনিস। তাদের আরও দাবি, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার মুহুর্মুহু হানায় বিদ্ধস্ত শাসক শিবির। ঘাসফুল শিবির দুর্নীতিকে এতটাই তৃণমূলস্তর পর্যন্ত পৌঁছে দিয়েছে যে এবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি হানা দিতে পারে রাজ্যের পঞ্চায়েতগুলিতেও। সেই আতঙ্কেই রাতের অন্ধকারকে বেছে নেওয়া হয়েছে দুর্নীতির তথ্য প্রমাণ লোপাটের মাধ্যমে হিসেবে।

যদিও বিজেপির তরফে তোলা অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন বাসুবাটি পঞ্চায়েতের প্রধান মুনমুন কর্মকার। তিনি বলেন, ‘বিজেপির তরফে মিথ্যে অভিযোগ করা হচ্ছে। পঞ্চায়েত অফিসে কেন্দ্রীয় প্রকল্পে শৌচাগার নির্মাণের কাজ হচ্ছে। যে শ্রমিকেরা সেই কাজ করছেন তাদের অনেক দূরে বাড়ি। তাদের থাকার জন্য ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছিল পঞ্চায়েত সংলগ্ন বিল্ডিং। এর জন্য আইনি যে পদক্ষেপ অর্থাৎ নির্দিষ্ট রেজ্যুলেশন পাশ করা, তাও পুঙ্খানুপুঙ্খ পদ্ধতি মেনে হয়েছে। বিজেপি শুধুমাত্র রাজনীতি করার জন্য এই ধরনের ভিত্তিহীন অভিযোগকে জোর করে টেনে আনছে।’

বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল সিঙ্গুর ব্লক প্রশাসনকেও। কিন্তু জানা গিয়েছে, ব্লক অফিসে এই ধরনের কোনও লিখিত অভিযোগ জমা পড়েনি। অভিযোগ পেলে তার ভিত্তিতে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। তদন্তের স্বার্থে প্রয়োজন হলে সিসিটিভি পর্যবেক্ষণের বিষয়টিকেও নজর রাখা হবে।