Twaha siddiqui: কাশেমের পদ, ২৬-এর ভোটে ভোল্টেজ দেবে নওশাদকেই, কীভাবে? বোঝালেন ত্বহা
Twaha siddiqui: অথচ এই কাশেম সিদ্দিকী আনিস খান কাণ্ড থেকে শুরু করে বিভিন্ন ইস্যুতে রাজ্য সরকারের সমালোচনা করেছেন। তাঁকে দলে পদ দেওয়ায় সংখ্যালঘুদের অন্দরেও তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছিল বলে ফুরফুরায় কান পাতলে শোনা যাচ্ছিল। তবে এতদিন পর সেই প্রসঙ্গে প্রথম মুখ খুললেন ত্বহা সিদ্দিকী।

হুগলি: ছাব্বিশের নির্বাচনে এবারের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ফুরফুরা শরিফ। আর তার আলোকবিন্দুতে কাশেম সিদ্দিকী। তৃণমূলে তাঁর নতুন পদ পাওয়া, রাজ্য সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন তিনি। আর তা নিয়ে নতুন বিতর্ক দানা বেঁধেছে বঙ্গ রাজনীতিতে। রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন, কাশেমের পদ পাওয়া নিয়ে সংখ্যালঘুদের একাংশের অন্দরেও চড়ছে পারদ! এবার বিস্ফোরক ত্বহা সিদ্দিকী। তিনি বললেন, “নির্বাচনে সংখ্যালঘুরা ভয়ঙ্কর খেলা খেলবে।”
তাঁর দাবি, “যিনি তৃণমূলকে গালাগালি দিতেন, মুখ্যমন্ত্রী তাকে দলে নেওয়ায় সংখ্যালঘুদের ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।” অঙ্ক কষে তিনি বলেন, “এতে নওশাদের লাভ হবে, ভাঙরে জিতবে নওশাদ , দু-তিনটে আসনও পেতে পারে।”
ছাব্বিশের নির্বাচনের আগে এই রাজনীতির মোচড় লক্ষ্য করা গিয়েছিল গত মার্চ মাসে। ৯ বছর পর ফুরফুরা শরিফে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সে সময়ে তাঁর পাশে দেখা গিয়েছিলেন কামেশ সিদ্দিকীকে। অথচ, এই কাশেমকেই গত লোকসভা নির্বাচনেও মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা গিয়েছিল। রাজ্য সরকার আয়োজিত ইফতারে মুখ্যমন্ত্রীর মঞ্চে ‘মুখ’ ছিলেন তিনি। পরবর্তী সময়ে পার্ক সার্কাসেও মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে মঞ্চ ভাগ করতে দেখা যায় তাঁকে।
অথচ এই কাশেম সিদ্দিকী আনিস খান কাণ্ড থেকে শুরু করে বিভিন্ন ইস্যুতে রাজ্য সরকারের সমালোচনা করেছেন। তাঁকে দলে পদ দেওয়ায় সংখ্যালঘুদের অন্দরেও তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছিল বলে ফুরফুরায় কান পাতলে শোনা যাচ্ছিল। তবে এতদিন পর সেই প্রসঙ্গে প্রথম মুখ খুললেন ত্বহা সিদ্দিকী।
কাশেম বলেন, “যিনি মুখ্যমন্ত্রী, তাঁর দলকে খারাপ কথা বলেছেন, তাঁকেই দলে নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।”
উল্লেখ্য, তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লা কয়েকদিন আগে কাশেম সিদ্দিকীকে ‘পচা আলু’ বলেছেন। সে প্রসঙ্গে ত্বহা বলেন, “শওকত মোল্লা অনেক দুঃখে কষ্টে এই ধরনের কথা বলছেন।” তিনি বলেন, “তৃণমূলের কর্মীরা ভাবছে, যাঁরাই দলকে দলের নেতৃত্বকে গালাগাল দেবে, তাঁরাই দলের পদ পাবে। আমে দুধে মিশে যাবে আঁটি গড়াগড়ি খাবে।”
ত্বহার বক্তব্য, “আমার মনে হয় নওশাদের এতে লাভ হবে।ভাঙর থেকে আবারও জিতবে,আরো দু তিনটে আসন পেতে পারে।”

