AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

রোগা চেহারাটাই ছিল ‘অ্যাডভান্টেজ’, গ্রিলটা একটু বাঁকালেই কেল্লাফতে, ঘরে ঘরে ঢুকে যে কাণ্ড করছিল ওরা দু’জন 

Crime Case: এদিন সাংবাদিক বৈঠক করেন শ্রীরামপুরের ডিসিপি অর্ণব বিশ্বাস। তিনি জানান, সিসিটিভি-তে ছবি দেখেই দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করা হয়। তারপর দেখা যায়, এদের পুরনো অপরাধের রেকর্ড রয়েছে।

রোগা চেহারাটাই ছিল 'অ্যাডভান্টেজ', গ্রিলটা একটু বাঁকালেই কেল্লাফতে, ঘরে ঘরে ঢুকে যে কাণ্ড করছিল ওরা দু'জন 
অভিযুক্তদের ধরল পুলিশImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Jul 10, 2024 | 10:10 PM
Share

উত্তরপাড়া: একদিন দু’দিন নয়। প্রায় মাস দুয়েক ধরে চলছিল এসব। একাধিক পরিবার থেকে অভিযোগ পাওয়ার পর নড়েচড়ে বসে পুলিশ। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে চলে তদন্ত। অবশেষে তাঁদের ধরে ফেলল পুলিশ। বুধবার সাংবাদিক বৈঠক করে পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে কীভাবে তাণ্ডব চালাচ্ছিল ওই দুই যুবক। ঘরে ঘরে কীভাবে ঢুকত তারা, সেই ব্যাখ্যাও দিয়েছে পুলিশ।

গত মাস দুয়েক ধরে উত্তরপাড়া থানা এলাকায় বেশ কয়েকটি চুরির ঘটনা ঘটে। সবকটি জায়গাতেই প্রায় একই কায়দায় ঢুকছিল চোর। মূলত জানালার শিক ফাঁক করে বা গ্রিল কেটে গৃহস্থের আলমারি সাফ করে দিচ্ছিল তারা। এমনই সব অভিযোগ আসতে থাকে পুলিশের কাছে। অবশেষে সিসিটিভি-র ফুটেজ দেখে দুষ্কৃতীদের পাকড়াও করল চন্দননগর থানার পুলিশ।

অভিযুক্ত দুই দুষ্কৃতীর নাম বিট্টু ঠাকুর ওরফে বাচ্চু ও বিশ্বজিৎ দাস ওরফে আকাশ। দু’জনেরই বাড়ি শেওড়াফুলিতে। ধৃতদের কাছ থেকে পাঁচ লক্ষ টাকার সোনা ও রুপোর অলঙ্কার, নগদ ১১ হাজার টাকা ও দুটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে উত্তরপাড়া থানার পুলিশ। চুরির কাজে ব্যবহৃত লোহার রড, রেঞ্জ, হুকও উদ্ধার করা হয়েছে।

এদিন সাংবাদিক বৈঠক করেন শ্রীরামপুরের ডিসিপি অর্ণব বিশ্বাস। তিনি জানান, সিসিটিভি-তে ছবি দেখেই দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করা হয়। তারপর দেখা যায়, এদের পুরনো অপরাধের রেকর্ড রয়েছে। এদের মধ্যে বিট্টু ঠাকুরকে ইকোপার্ক থেকে গ্রেফতার করা হয়। আর বিশ্বজিৎ চুরির পর তারাপীঠে পালিয়েছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাকে তারাপীঠ থেকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। দুই দুষ্কৃতীর বাড়ি শেওড়াফুলি এলাকায়।

পুলিশ উল্লেখ করেছে, শীর্ণ চেহারা হওয়ায় প্রবেশ করতে সুবিধা হত। লোহার গ্রিল অল্প ফাঁক করলেই ঢুকতে পারত অভিযুক্তরা। এরপর ঘরের আলমারি ভেঙে চালানো হত লুঠপাট। এই দু’জনের সঙ্গে আরও কেউ যুক্ত আছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।