Asha Worker: আশা কর্মীর স্বামীকে বেধড়ক মার, তৃণমূলের যুব নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ

Hooghly: যদিও যাঁর বিরুদ্ধে সেই তৃণমূল নেতার কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। পেলেই তা যুক্ত করা হবে এই প্রতিবেদনে।

Asha Worker: আশা কর্মীর স্বামীকে বেধড়ক মার, তৃণমূলের যুব নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ
প্রতিবাদে সরব আশা কর্মীরা।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 27, 2023 | 9:31 PM

আরামবাগ: বাড়ি বাড়ি সমীক্ষার কাজ করতে গিয়েছিলেন আশা কর্মী। অভিযোগ, এরপরই এক তৃণমূলের যুব নেতার হাতে আক্রান্ত হন ওই আশা কর্মীর স্বামী। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। আশা কর্মীর স্বামীকে রড দিয়ে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। বিচার চেয়ে আশা কর্মীরা একযোগে বিএমওএইচ ও বিডিওর দ্বারস্থ হন। গোঘাটের (Goghat) এই ঘটনা ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায়। রাজ্য সরকারের নির্দেশ মতোই বাড়ি বাড়ি গিয়ে সার্ভে করছিলেন আশা কর্মীরা। অভিযোগ, এনআরসির কাজ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে ওই তৃণমূল নেতা ওই আশা কর্মীর স্বামীকে মারধর করেন। ওই ব্যক্তিকে বাঁচাতে এলে বাড়ির অন্যান্য সদস্যরাও আক্রমণের শিকার হন বলে অভিযোগ। যদিও যাঁর বিরুদ্ধে সেই তৃণমূল নেতার কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। পেলেই তা যুক্ত করা হবে এই প্রতিবেদনে। তবে এই অভিযোগকে সামনে রেখে তৃণমূলের ওই নেতার সঙ্গে অন্যান্য নেতাদের কোন্দলের একটা ছবি সামনে উঠে এসেছে। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা আতাউল হক।

আশা কর্মী রেশমা বেগম গোঘাটের সুন্দরপুর এলাকার বাসিন্দা। তিনিই একরামুল হক নামে অভিযুক্ত তৃণমূল যুব নেতার বাড়ি গিয়েছিলেন সমীক্ষার কাজে। পশ্চিমবঙ্গ আশা কর্মী ইউনিয়নের ব্লক সভাপতি প্রণতি মুখোপাধ্যায়ের কথায়, এমনিতেই তাঁদের দিয়ে নানারকম কাজ করানো হয়। কখনও টাকা পান, কখনও পান না। তার উপর এই ধরনের ঘটনা।

প্রণতি মুখোপাধ্যায় বলেন, “আমাদেরই সহকর্মী রেশনা বেগম সাবসেন্টারের কর্মী। আমাদের তো এমনিই ৬০ রকমের কাজ করতে হয়। এখন জনসমীক্ষা করছি। এটা বছরে ২ বার করি। কোনওদিনই পয়সা পাইনি। এবার ৩০০ টাকা দেবে বলেছিল মাসে। আমরা জানি জনসমীক্ষার সার্ভে মানে লোকসংখ্যা কত তার হিসাব নেওয়া। এখন ফর্মে দেখছি কীসের উনুনে রান্না, স্বাস্থ্যসাথী, খাদ্যসাথী, আধার কার্ডের নম্বর নিতে হবে। এমনকী যাদের স্বাস্থ্যসাথী নেই, অন্যান্য মেডিক্লেম সেসব তথ্যও নিতে হবে। পশ্চিমপাড়া অঞ্চলের তৃণমূল সদস্য একরামুল হকের বাড়িতে গিয়েছিল রেশমা। সব তথ্য় নিয়ে আসে। এরপর রেশমার বরকে রাস্তায় ধরেন একরামুল। কী কাজ করে বউ জানতে চেয়ে মারধর করা হয় রেশমার বরকে।”

শনিবার রাতে ঘটলেও সোমবার তাঁরা এই ঘটনার প্রতিবাদ করে বিডিও এবং বিএমওএইচের কাছে যান। আক্রান্ত রেশমা বেগম বলেন, “স্থানীয় তৃণমূল নেতা রওশন আলি খান, একরামুল হক-সহ বেশ কয়েকজন এই ঘটনায় যুক্ত। ওদের শাস্তি না হলে আবারও আমার মত অনেকেই আক্রান্ত হবেন। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।” যদিও এ নিয়ে গোঘাট ২ নম্বরের বিডিও কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

তবে স্থানীয় তৃণমূল নেতা আতাউল হক বলেন, “আমি রেশমার স্বামীর সঙ্গে কথাও বলেছি। ওনার গায়ে মারের দাগ রয়েছে। রাজনীতিতে ওদের কোনও জ্ঞান নেই। এখন হঠাৎ করে যুবর দায়িত্ব দিয়েছে। তাই মাথাটা খারাপ হয়ে গিয়েছে। শুধু রেশমা নয়, অনেককেই হুমকি দিচ্ছে। মারতে যাচ্ছে। আমাদের অমতের পরও ওকে দল এলাকার যুব সভাপতি করেছে। তবু সে তো আমারই দলের লোক। তাই আমাকে মানতেই হবে।”