AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Crime News: ‘টার্গেট’ ছিল স্বর্ণব্যবসায়ী, ‘ছিনতাই’ করতে এসে আরেক কাণ্ড…

Hoogly: অভিযোগ, স্থানীয় বাসিন্দারা এসে দেখেন ওই যুবকের সঙ্গে আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে। এরপরই তাঁকে ঘিরে ধরে প্রথমে কথাকাটাকাটি ও পরে বেদম মার শুরু হয়।

Crime News: 'টার্গেট' ছিল স্বর্ণব্যবসায়ী, 'ছিনতাই' করতে এসে আরেক কাণ্ড...
| Edited By: | Updated on: Jan 21, 2023 | 9:49 AM
Share

হুগলি: আগ্নেয়াস্ত্র-সহ এক যুবককে গ্রেফতারের অভিযোগ উঠল চণ্ডীতলায় (Chanditala)। অভিযোগ, পুলিশের গ্রেফতারির আগে ওই যুবককে ধরেন এলাকার লোকজন। তাঁকে বেধড়ক মারধর করেন উত্তেজিত জনতা। এরপরই তুলে দেওয়া হয় পুলিশের হাতে। চণ্ডীতলার হরিরাম বাটি এলাকার এই ঘটনা ঘিরে শুক্রবার রাতে শোরগোল পড়ে যায় এলাকায়। পুলিশ সূত্রে খবর, জনতার মারে আহত হন ধৃত ওই যুবক। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে এলাকার এক স্বর্ণব্যবসায়ী বাইকে ফিরছিলেন। তাঁর পিছু নেয় তিন যুবক। তাঁরা বাইকে ছিলেন। ছিনতাইয়ের উদ্দেশেই ধাওয়া করা হয় বলে অভিযোগ ব্যবসায়ীর। চণ্ডীতলার হরিরাম বাটি এলাকায় আসতেই স্বর্ণব্যবসায়ীর রাস্তায় আটকান তিনজন। ব্যবসায়ীর চিৎকার শুনে ছুটে আসেন এলাকার লোকজন। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে দুই যুবক বাইক নিয়ে পালিয়ে যান। কিন্তু একজন বাইকে উঠতে পারেননি। তিনিই ধরা পড়ে যান এলাকার লোকজনের কাছে।

অভিযোগ, স্থানীয় বাসিন্দারা এসে দেখেন ওই যুবকের সঙ্গে আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে। এরপরই তাঁকে ঘিরে ধরে প্রথমে কথাকাটাকাটি ও পরে বেদম মার শুরু হয়। বেশ কিছুক্ষণ গণধোলাই চলে। এদিকে খবর যায় চণ্ডীতলা থানায়। পুলিশ এসে উত্তেজিত জনতার হাত থেকে ওই যুবককে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

প্রাথমিকভাবে তাঁকে আটক করা হলেও পরে গ্রেফতার করা হয় বলেই সূত্রের খবর। ওই যুবকের সঙ্গে থাকা আগ্নেয়াস্ত্রটিও উদ্ধার করেছে পুলিশ। চণ্ডীতলা থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। প্রসঙ্গত, দু’দিন আগেই এরকমই একটি ঘটনা ঘটে হরিপালের ইলাহিপুর এলাকায়। সেদিনও এক স্বর্ণব্যবসায়ীকেই ‘টার্গেট’ করেছিল দুষ্কৃতীরা। ছিনতাইয়ে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে এলোপাথাড়িভাবে ছুরির কোপ বসায় ওই ব্যবসায়ীর উপর। এবার চণ্ডীতলায় এই ঘটনা। এলাকার লোকজন প্রশাসনিক তৎপরতার দাবি তুলেছেন। তাঁদের দাবি, রাস্তায় পর্যাপ্ত আলো ও নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হোক। না হলে রাতবেরাতে এই ধরনের অপরাধীর দৌরাত্ম্য বাড়তেই থাকবে। যে কোনওদিন বড় বিপদও ঘটে যেতে পারে।