Mobile App: এবার হাতের মুঠোয় ‘জলাধার’, মাছ চাষীদের উৎসাহ দিতে নতুন দিগন্ত হুগলি প্রশাসনের

Hoogly: প্রতিটি পুকুরের জন্য জিও ট্যাগিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে। মূলত, ডিজিটাল ট্যাগের মাধ্যমে ছবির ভৌগলিক অবস্থান বোঝানোর প্রযুক্তিই হল জিও ট্যাগিং।

Mobile App: এবার হাতের মুঠোয় 'জলাধার', মাছ চাষীদের উৎসাহ দিতে নতুন দিগন্ত হুগলি প্রশাসনের
হুগলির জেলাশাসক পি দীপাপ প্রিয়া।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 18, 2022 | 5:43 PM

হুগলি: গ্রামীণ অর্থনীতির ভিত্তিই হল চাষবাস। সে মাঠে ফসল ফলানো হোক কিংবা পুকুরে মাছের চাষ। গ্রামীণ অর্থনীতির ওঠাপড়ায় চাষের ভূমিকা এখনও সর্বাগ্রে। সেই দিকটি মাথায় রেখেই এবার হুগলি জেলায় মাছের জোগান বাড়ানোর দিকে নজর দিয়েছে জেলা প্রশাসন। অতিবৃষ্টি বা কম বৃষ্টি হলে মাঠের ফসল বাঁচানো কঠিন। কিন্তু জলেই যাদের বাস, সেই মাছ রক্ষা করা তুলনামূলকভাবে অনেকটাই সহজ। তাই হুগলির চাষিদের মাছচাষে আরও বেশি করে উৎসাহ দিতে চায় প্রশাসন। তার জন্য ‘জলাধার’ নামে একটি মোবাইল অ্যাপও তৈরি করা হয়েছে।

গুগল প্লে স্টোর থেকে এই ‘জলাধার’ ইনস্টল করা যাবে। সেখানে জেলার জলাশয়গুলির নানা তথ্য পাওয়া যাবে। এমনকী কোথাও পুকুর বোজানো হচ্ছে কি না কিংবা এলাকার কোনও পুকুর কী অবস্থায় রয়েছে তার বিস্তারিত জানতে পারবেন উপভোক্তা। হুগলির জেলাশাসক পি দীপাপ প্রিয়া জানান, ‘জলাধার’-এর প্রধান উদ্দেশ্য মাছ চাষে উৎপাদন বাড়ানোর মাধ্যমে গ্রামীণ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করা। বুজে যাওয়া পুকুর খনন করা হবে ১০০ দিনের কাজের মাধ্যমে। তা থেকে জল ধরো জল ভরো প্রকল্পের কাজ যেমন চলবে, তেমনি চাষের কাজ বিশেষত সবজি চাষে পুকুরের জল ব্যবহার করা হবে।

প্রতিটি পুকুরের জন্য জিও ট্যাগিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে। মূলত, ডিজিটাল ট্যাগের মাধ্যমে ছবির ভৌগলিক অবস্থান বোঝানোর প্রযুক্তিই হল জিও ট্যাগিং। সঙ্গে থাকবে ইউজার গ্রুপ। অর্থাৎ কাজের অগ্রগতি, গতিপ্রকৃতি সমস্তটাই যাচাই করা যাবে। একটি পুকুরের জন্য একটি ইউজার গ্রুপ থাকবে। তা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর লোক হতে পারে, আবার গ্রামীণ কিছু মানুষকে নিয়েও হতে পারে। তাদের কাজ হবে পুকুরের দেখাভাল করা। মানুষ এসে আবর্জনা ফেলে যাতে পুকুর নোংরা না করেন কিংবা আগাছা জমে পুকুর নষ্ট না হয়, তার নজরদারি চালাবে তারা। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, হুগলি জেলায় ৪০ হাজার এমন পুকুরকে চিহ্নিত করা হয়েছে। ব্লক ধরে ধরে ম্যাপ তৈরি করে সমস্ত দফতরকে দেওয়া হয়েছে। বেসরকারি জলাশয়ের মালিক যাঁরা, তাঁদেরও এর সঙ্গে যুক্ত করার ভাবনা রয়েছে। খুব তাড়াতাড়িই হুগলিতে ‘জলাধার’-এর উদ্বোধন হবে।