Hooghly: মৃত বাবার ছবি হাতে মাঝ রাস্তায় বসে পড়লেন যুবক, বিনা নোটিসে কাজ থেকে বসিয়ে দেওয়ায় ধর্না

TV9 Bangla Digital

TV9 Bangla Digital | Edited By: Sanjoy Paikar

Updated on: May 05, 2022 | 11:35 AM

Hooghly: হুগলির কোন্নগর পিপলস কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ব্যাঙ্ক লিমিটেড। বুধবার সন্ধে নাগাদ ওই ব্যাঙ্কের সামনের রাস্তায় লোকে-লোকারণ্য।

Hooghly: মৃত বাবার ছবি হাতে মাঝ রাস্তায় বসে পড়লেন যুবক, বিনা নোটিসে কাজ থেকে বসিয়ে দেওয়ায় ধর্না
ধর্নায় বসলেন যুবক (নিজস্ব ছবি)

হুগলি: বিনা নোটিসে কাজ থেকে বসিয়ে দেওয়ায় ধর্নায় বসলেন যুবক। শুধু তাই নয়, রীতিমত বাবার ছবি নিয়ে পোস্টার লিখে ব্যাঙ্কের সামনে ধর্নায় বসলেন তিনি। গোটা ঘটনায় ভিড় জমে কোন্নগরের রাস্তায়।

হুগলির কোন্নগর পিপলস কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ব্যাঙ্ক লিমিটেড। বুধবার সন্ধে নাগাদ ওই ব্যাঙ্কের সামনের রাস্তায় লোকে-লোকারণ্য। রাস্তার উপরেই বসে রয়েছেন এক যুবক। হাতে পোস্টার। শুভম মুখোপাধ্যায় নামে ওই যুবকের অভিযোগ, বাবা সুপ্রিয় মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুর পর ২০২০ সালে চাকরি পান তিনি। দিন চারেক আগে হঠাৎ করেই ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান মানস রায় তাঁকে ডেকে বলেন, ‘তাঁকে আর কাজ করতে হবে না।’ যুবক তাঁর মাকে নিয়ে চেয়ারম্যানের কাছে অনেক অনুনয় বিনয় করলেও তাঁকে আর কাজে বহাল করা হয়নি। এরপর কাজ ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে বুধবার ব্যাঙ্কের সামনে ধর্নায় বসে পড়েন তিনি। তাঁকে সঙ্গ দিতে এগিয়ে আসেন এলাকারই আরও কিছু লোকজন।

যুবকের দাবি, খুব অল্প বেতনে তিনি কাজ করে তাঁর মায়ের চিকিৎসা থেকে সংসার চালানো সবই করতেন।তবে কাজ চলে যাওয়ায় এখন কী করে চলবে। তাই চাকরি ফিরিয়ে দিতে হবে। এলাকার বাসিন্দারা তাঁকে সমর্থন করে চাকরি ফিরিয়ে দেবার দাবি জানান।

এই খবরটিও পড়ুন

এইদিকে নবগ্রাম অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি অপূর্ব মজুমদারের অভিযোগ, যাঁরা তৃণমূল কর্মী বেছে-বেছে তাঁদেরই বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। অপূর্ব বাবু দাবি করেছেন, যুবকের বাবা ব্যাঙ্কে চাকরি করতেন। তিনি মারা যেতে তাঁর ছেলে চাকরি পান। কোনও কারণ ছাড়াই তাঁকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এই ব্যাঙ্কে যেসব কর্মচারী রয়েছেন তাঁদের মধ্যে যাঁরা তৃণমূল করেন বা সমর্থক তাঁদেরই বিনা কারণে শোকজ করা হচ্ছে নয়ত বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এটা চলতে পারে না। এটা নবগ্রামের ব্যাঙ্ক। আমরা কোনও অন্যায় হতে দেব না। যাঁকে বসিয়েছে তাঁকে কাজে বহাল করতে হবে।

অন্যদিকে, ব্যাঙ্কের সামনে ধর্না চলছে এই খবর পেয়ে চলে আসেন কানাইপুর ফাঁড়ির পুলিশ। ধর্না তুলে নিতে বলেন তাঁরা। কিন্তু পুলিশের কথায় কান না দিয়ে চলতে থাকে ধর্না। এরপর উত্তরপাড়া থানার আইসি গিয়ে বোঝান আলোচনা করে সমস্যা মেটাতে। দু’দিন সময় দেন শুভম ও তাঁর সঙ্গীরা। চাকরিতে পুনর্বহাল না করলে আবার আন্দোলন হবে বলে জানিয়ে দেন তাঁরা। ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান মানস রায়কে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, “আমি কলকাতায় ছিলাম। আমি শুনেছি এরকম কিছু হয়েছে। তবে কাল ব্যাঙ্কে গিয়ে বলতে পারব কী হয়েছে।” শুভমকে বসিয়ে দেওয়া প্রসঙ্গে বলেন, এরকম কিছু হয়নি।

Latest News Updates

Follow us on

Related Stories

Most Read Stories

Click on your DTH Provider to Add TV9 Bangla