টিকাকরণ প্রক্রিয়া শুরুর সপ্তাহখানেক আগে কোথায় দাঁড়িয়ে রাজ্যের প্রস্তুতি

যদিও ভ্যাকসিন এখনও পর্যন্ত এসে পৌঁছয়নি রাজ্যে। তবে ১৬ জানুয়ারির আগেই তা যে কোনও দিন এসে যেতে পারে। ফলে প্রস্তুতি সেরে রাখার ক্ষেত্রে রাজ্য কোমর বেঁধে তৈরি বলাই চলে।

টিকাকরণ প্রক্রিয়া শুরুর সপ্তাহখানেক আগে কোথায় দাঁড়িয়ে রাজ্যের প্রস্তুতি
প্রতীকী চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Jan 10, 2021 | 11:07 PM

কলকাতা: হাতে আর মাত্র ছয় দিন। ফেলে আসা দশকের সবচেয়ে দীর্ঘ প্রতিক্ষার অবসান ঘটিয়ে আগামী শনিবার থেকে দেশজুড়ে করোনার টিকাকরণ (Covid Vaccine) শুরু হতে চলেছে। প্রথম দফায় ভ্যাকসিন পাবেন ফ্রন্টলাইন যোদ্ধারা। ফলে চূড়ান্ত প্রস্তুতি সেরে ফেলা হয়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে। একনজরে দেখে নেওয়া যাক টিকাকরণ প্রক্রিয়া শুরুর সপ্তাহখানেক আগে কোথায় দাঁড়িয়ে রাজ্যের প্রস্তুতি।

*রাজ্যে মোট ৪ হাজার ৮৯টি সেশন সাইট তৈরি হয়েছে, এখানেই টিকাকরণ চলবে। টিকাপ্রদান করার জন্য ভ্যাকসিনেটর অফিসার হিসেবে নিযুক্ত রয়েছেন ২০ হাজার জন। এ বাদে ২৪ হাজার নার্স যুক্ত থাকছেন গোটা প্রক্রিয়ার সঙ্গে।

*পশ্চিমবঙ্গের ‘ভ্যাকসিন হাব’ তৈরি হতে চলেছে কলকাতার বাগবাজারে। রাজ্যে ভ্যাকসিন এসে পৌঁছনোর পর তা এখানেই মজুত করা হবে। করোনার টিকা সংরক্ষণের জন্য সেই হাব এখন পুরোপুরিভাবে প্রস্তুত বলে জানা গিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে।

*ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা বজায় রাখতে তা মজুত করতে হবে কোল্ড চেইন পয়েন্টে। রাজ্যের ২৮টি জেলায় মোট ৯৪১টি কোল্ড চেইন পয়েন্ট থাকছে। কলকাতা থেকে জেলায় ভ্যাকসিন নিয়ে যাওয়ার পর সেখানেই প্রাথমিকভাবে রাখা হবে।

*বাগবাজারের ভ্যাকসিন হাব থেকে জেলায় জেলায় ভ্যাকসিন পৌঁছে দেওয়া হবে। তার জন্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মোট ৪৭টি ভ্যান ব্যবহার করা হবে। প্রত্যেক জেলাপিছু ন্যূনতম একটি করে ভ্যাকসিন সরবরাহকারী ভ্যান বরাদ্দ করা হয়েছে।

*কোভিড ভ্যাকসিন সংরক্ষণের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল তাপমাত্রা। কোল্ড চেইন বজায় রাখার জন্য যে যে ধরনের আনুসাঙ্গিক সামগ্রী প্রয়োজন, তাও প্রস্তুত করার কাজ শেষ।

*টিকাকরণের গোটা প্রক্রিয়ার পুনঙ্খানুপুঙ্খ তথ্যের দিকে নজর রাখা হবে অনলাইনে। তার জন্য ইলেকট্রনিক ভ্যাকসিন নেটওয়ার্ক তৈরি করা হয়েছে, যা ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করে দিয়েছে।

*ভ্যাকসিন সর্বক্ষণ সঠিক তাপমাত্রায় থাকছে কিনা, এবং যত পরিমাণ ভ্যাকসিন আসছে তার বণ্টন সঠিকভাবে হচ্ছে কিনা, এই বিষয়গুলির উপর ২৪ ঘণ্টা নজরদারি চালানো হবে।

আরও পড়ুন: দুয়ারে কে আগে বিনে পয়সায় পৌঁছে দেবে ভ্যাকসিন? এ নিয়ে তরজা কেন্দ্র-রাজ্যের

*কোনও ভাবে বিদ্যুৎ পরিষেবা ব্যাহত হলে কোল্ড চেইন বজায় রাখা যাবে না, এবং ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। সেই কারণে যাতে লোডশেডিং না হয়, তা নিশ্চিত করতে সিইএসসি এবং রাজ্যের বিদ্যুৎ বোর্ডের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে।

*ভ্যাকসিন যেখানে সংরক্ষণ করা হবে সেখানে, এবং জেলায় জেলায় নিয়ে যাওয়ার সময় তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পর্যাপ্ত পুলিসি ব্যবস্থাও করা হচ্ছে।

যদিও ভ্যাকসিন এখনও পর্যন্ত এসে পৌঁছয়নি রাজ্যে। তবে ১৬ জানুয়ারির আগেই তা যে কোনও দিন এসে যেতে পারে। ফলে প্রস্তুতি সেরে রাখার ক্ষেত্রে রাজ্য কোমর বেঁধে তৈরি বলাই চলে।

আরও পড়ুন: দেশে সুস্থতার হার বেড়ে ৯৬.৪২ শতাংশ, নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে করোনার দৈনিক সংক্রমণ