Shibpur Cannon Shell: শিবপুর থানা থেকে উদ্ধার শতাব্দী প্রাচীন শক্তিশালী কামানের গোলা, কীভাবে মিলল সন্ধান?

Shibpur Police Station: শিবপুর থানা প্রাঙ্গনে জলের পাইপ লাইনের কাজ চলছিল। মাটি খোড়াখুড়ি হচ্ছিল। সেই সময়েই দুটি বিশাল বিশাল ভারী বস্তু পাওয়া যায়। লোহার পেল্লায় আকারে দুটি বস্তু। পরে বোঝা যায় সেগুলি আসলে শক্তিশালী কামানের গোলা। দীর্ঘদিন ধরে মাটির তলায় পড়ে থাকতে থাকতে নিষ্ক্রিয় হয়ে গিয়েছে।

Shibpur Cannon Shell: শিবপুর থানা থেকে উদ্ধার শতাব্দী প্রাচীন শক্তিশালী কামানের গোলা, কীভাবে মিলল সন্ধান?
শিবপুর থানায় উদ্ধার শতাব্দী প্রাচীন কামানের গোলাImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: Soumya Saha

Sep 12, 2023 | 12:00 AM

হাওড়া: শিবপুর থানা চত্বর থেকে উদ্ধার শতাব্দী প্রাচীন কামানের গোলা। সম্প্রতি শিবপুর থানা প্রাঙ্গণে জলের পাইপ লাইনের কাজ চলছিল। মাটি খোড়াখুড়ি হচ্ছিল। সেই সময়েই দুটি বিশাল বিশাল ভারী বস্তু পাওয়া যায়। লোহার পেল্লায় আকারে দুটি বস্তু। পরে বোঝা যায় সেগুলি আসলে শক্তিশালী কামানের গোলা। দীর্ঘদিন ধরে মাটির তলায় পড়ে থাকতে থাকতে নিষ্ক্রিয় হয়ে গিয়েছে। সোমবার সেগুলি উদ্ধার করেন পশ্চিমবঙ্গের অ্যাডমিনিস্ট্রেটর জেনারেল অ্যান্ড অফিশিয়াল ট্রাস্টি বিপ্লব রায়। বিপ্লববাবু জানান, স্টেট জুডিশিয়াল মিউজিয়াম অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের উদ্যোগে সেগুলি সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।

বিপ্লববাবু এই পেল্লায় কামানোর গোলাগুলির সন্ধান পেয়েছিলেন কিছুদিন আগেই। তিনি এক অজানা স্বাধীনতা সংগ্রামীর বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে শিবপুর থানা এলাকায় গিয়েছিলেন। অনেক ঘোরাঘুরির পরেও তিনি সেই স্বাধীনতা সংগ্রামীর বিষয়ে কোনও তথ্য সেভাবে জোগাড় করতে পারেননি। শেষে শিবপুর থানায় গিয়েছিলেন পুলিশের সঙ্গে নিজের সেই কাজের বিষয়ে কথা বলতে। আর সেই সময়েই পুলিশকর্মীদের সঙ্গে কথা প্রসঙ্গে তিনি জানতে পারেন, জলের লাইনের কাজ চলাকালীন দুটি বড় বড় লোহার ভারী বস্তু পাওয়া গিয়েছে মাটির তলা থেকে। তখনই তিনি সেগুলি দেখতে যান এবং বুঝে যান ওগুলি কোনও শক্তিশালী কামানোর গোলা।

বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করে তিনি তখনই থানার আইসির সঙ্গে কথা বলেন। আবেদন করেন সেগুলিকে স্টেট জুডিশিয়াল মিউজিয়াম অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারে সংরক্ষণের জন্য দিতে। কিন্তু থানার আইসি এককভাবে এই সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি। ফলে ভারতের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের কাছে চিঠি পাঠান বিপ্লববাবু। এরপর সেখান থেকে সবুজ সংকেত আসার পর থানার আইসি ও অন্যান্য ঊর্ধ্বতন পুলিশকর্তাদের, জেলাশাসককে ও বাকি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানান তিনি। সেই মতো আজ ওই দুটি শতাব্দী প্রাচীন কামানোর গোলা উদ্ধার করে নিয়ে যান তিনি।

পরবর্তীতে এই কামানের গোলাগুলি সেনা ও কামান বিশেষজ্ঞদের দিয়ে পরীক্ষা করানো হবে। সেগুলি কোন সালের বা কোন সংস্থা তৈরি করেছিল, সেই সব তথ্য জোগাড় করা হবে।