হাওড়া: পাঁচ বছরের শিশুকে অপহরণের অভিযোগ। মা-বাবার প্রাথমিক অনুমান ছিল ভাসুরের ছেলে অপরহণ করেছে তাঁদের সন্তানকে। কিন্তু একদিন কাটতে না কাটতেই রহস্যের জট খুলল। পারিবারিক বিবাদের জেরে শিশুকে অপরহরণ করে খুনের পরিকল্পনা তাঁর কাকার। তবে অঘটন হওয়ার আগেই বাচ্চাটিকে উদ্ধার করল ডোমজুড় থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার রাত্রিবেলা মালদহ থেকে বছর পাঁচের রোহন মল্লিককে উদ্ধার করে ডোমজুড় থানার পুলিশ আধিকারিকরা। অপহরণের অভিযোগে অভিযুক্ত কাকাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ তাঁকে হাওড়া আদালতে পেশ করা হয়।
পরিবার সূত্রে খবর, গত শুক্রবার ডোমজুর থানার অন্তর্গত বেনিয়ারা গ্রামের বাদিন্দা রোহন নিখোঁজ হয়ে যায়। তখন থেকে পরিবার অভিযোগ করে তাঁদেরই আত্মীয়দের কেউ এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত। থানায় নিখোঁজ ডায়রি করা হয়। ঘটনার তদন্তে নামে ডোমজুড় থানার পুলিশ। তাঁরা জানতে পারেন শিশু অপহরণের ঘটনায় জড়িত তার কাকা শাহ আলম।
পুলিশ সূত্রে খবর,শাহ আলমের সঙ্গে তাঁর স্ত্রী-র ঝামেলা চলছিল দীর্ঘদিন ধরেই। এরপর সন্তানকে নিয়েই বাড়ি ছাড়েন শাহর স্ত্রী। এরপর দাদা বউদির কাছে মাঝেমধ্যে টাকা ধার চাইতেন অভিযুক্ত। মাঝে-মধ্যে স্ত্রী সঙ্গে দেওরের ঝামেলা মিটিয়েও দিতেন তাঁরা। তবে বারংবার টাকা চাওয়ায় তা দিতে অস্বীকার করেন দাদা বৌদি। অভিযোগ, তখনই অভিযুক্তর আক্রোশ গিয়ে পড়ে ভাইপোর উপর।
পুলিশ সূত্রে খবর, ভাইপো রোহনকে খুন করার পরিকল্পনা করেছিলো আলম। যদিও পুলিশ তার আগেই আলমকে গ্রেফতার করে ফেলে। অভিযুক্ত নিজেও জানিয়েছে, দাদা-বউদির সঙ্গে তার ঝামেলা চলছিল। এ দিন শাহ আলমকে হাওড়া আদালতে পেশ করে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছে ডোমজুর থানার পুলিশ। উদ্ধার হওয়া শিশুটিকে তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। পুলিশের ভূমিকায় খুশী পরিবারের লোকজন।