হাওড়া: এক টিকিটে পেয়েছেন ১ কোটি টাকা, অন্য টিকিটে ২ লক্ষ। কিন্তু, এই বিপুল লটারি জিতেও ঘরে টাকা আনতে পারেননি উত্তর হাওড়ার (Howrah) ঘুসুড়ির বাসিন্দা বছর ৩৩ আলমগীর মণ্ডল। পুলিশের বিরুদ্ধে করছেন গুরুতর অভিযোগ। পেশা দর্জি ওই যুবকের দাবি, সম্প্রতি তিনি এলাকার এক লটারি বিক্রেতার থেকে ১২০০ টাকা সিরিজের একটি টিকিট কাটেন। সেখানে যত টিকিট ছিল তার মধ্যে একটি টিকিটে ১ কোটি টাকা জেতেন, অন্য একটি টিকিটে ২ লক্ষ টাকা। অভিযোগ, লটারি বিক্রেতা তাঁকে ২ লক্ষ টাকার জেতা লটারির জন্য ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা দিলেও ১ কোটির লটারি তিনি জেতেননি বলে দাবি করেছেন। এ নিয়ে লটারির দোকানের মালিক গোপাল আগরওয়ালের সঙ্গে বচসাও হয়। খবর যায় পুলিশে।
খবর পেয়ে দু’জনকেই থানায় ডাকে পুলিশ। আলমগীরের অভিযোগ, থানাতেও তাঁর উপর জুলুমবাজি করেছে পুলিশ। চাওয়া হয়েছে ৩০ লক্ষ টাকা। সেই টাকা দিলে তবেই কোটি টাকার লটারি মিলবে বলে জানানো হয়। যদিও মালিপাঁচঘড়া থানার পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
ইতিমধ্যেই পুলিশ কমিশনারের কাছে পুরো বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন ওই যুবক। সূত্রের খবর, গত ২২ তারিখ রাতে ওই লটারি কোম্পানির মেন ডিলারের বালির অফিস থেকে এক কোটি টাকার টিকিট উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশের দাবি, ওই টিকিটের দুজন দাবিদার থাকায় তাঁরা গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। তদন্ত শেষেই কোটি টাকার টিকিটের আসল দাবিদার কে তা জানা সম্ভব।
ঘটনায় আলমগীর মণ্ডল বলছেন, “পুলিশ যে এরকম করবে ভাবতে পারিনি। পুলিশ বলছে ৩০ লক্ষ টাকা দিয়ে টিকিট নিয়ে যাও। ৩০ লক্ষ টাকা ক্যাশ আমি কোথায় পাব? আমি বলেছি এদিক-সেদিক থেকে আমি তিন লাখ টাকা ব্যবস্থা করতে পারব। কিন্তু ওরা মানেনি। তাড়িয়ে দিয়েছে। তারপরই আমি উকিলবাবুকে নিয়ে গিয়েছি। শুনেছি কোম্পানির লোকজন প্লেনে করে বালিতে এসেছে। টিকিট কোথায় থাকবে না থাকবে ওরা জানে। আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলেছি। আমার আধার কার্ড, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর দিতে বলেছে।”