Sandeshkhali: আরও এক ‘সন্দেশখালি’, পিঠের পর এবার রাতে চোলাই বানাতে ডাক পড়ত মহিলাদের

Sandeshkhali: ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকার রাজনৈতিক মহলেও শুরু হয়েছে তীব্র চাপানউতোর। তোপ দেগেছে বিজেপি। হাওড়া গ্রামীণ জেলার বিজেপি নেতা অরুণ উদয় পাল চৌধুরী সুর চড়িয়ে বলেন, “গোটা বাংলার নানা জায়গাতেই সন্দেশখালির মতো এই ছবি আছে। ভয়ে মানুষ ভয়ে কথা বলে না।”

Sandeshkhali: আরও এক ‘সন্দেশখালি’, পিঠের পর এবার রাতে চোলাই বানাতে ডাক পড়ত মহিলাদের
শোরগোল এলাকার রাজনৈতিক মহলে Image Credit source: TV-9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Apr 25, 2024 | 6:37 PM

আমতা: ভোটে তপ্ত বাংলায় এখনও টাটকা সন্দেশখালির স্মৃতি। ‘স্বামীদের বলা হত, বউ দিনের বেলা তোমার হতে পারে, কিন্তু রাতের বেলা শাহজাহান বাহিনীর।’ অভিযোগ উঠেছিল রাতবিরেতে সেখানকার মহিলাদের দলীয় কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে যাওয়া হত। এমনই এক ঝাঁক বিস্ফোরক কথা শোনা গিয়েছিল সন্দেশখালির মহিলাদের মুখে। যা নিয়ে নিন্দার ঝড় উঠেছিল বঙ্গ রাজনীতির আঙিনায়। অন্যদিকে আবার পিঠে বানানোর নামে রাতে দলীয় কার্যালয়ে তলবের অভিযোগ উঠেছিল দিনহাটাতে। এবার যেন একই ঘটনার প্রতিচ্ছবি দেখা গেল হাওড়ার আমতা চন্দ্রপুরে। মদ বানানোর নামে রাতে মহিলাদের ডেকে নিয়ে যাওয়া হত বলে অভিযোগ। চলত কাপড় ধরে টানাটানি। অভিযোগের তির এলাকার তৃণমূল নেতাদের দিকে। 

এলাকার মহিলারা বলছেন অত্যাচার দিনে দিনে এমন বাড়ছিল যে পুলিশের দ্বারস্থও হয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু, তাতেও কোনও কাজ হয়নি। উল্টে পুলিশে অত্যাচারীদের সাহায্য করে বলে অভিযোগ। শেষে তৃণমূল নেতাদের ভয়ে ঘর ছাড়েন তাঁরা। অবশেষে চার বছর পর এদিন ঘরে ফেরেন চন্দ্রপুরের এক মহিলা।  ফিরে দেখেন গোটা বাড়ি কার্যত জঙ্গলের গ্রাসে চলে গিয়েছে। কোথায় কীভাবে থাকবেন তা এখন ভেবে কূল-কিনারা পাচ্ছেন না তিনি। 

ওই মহিলা বলছেন, “চার বছর পর ফিরলাম। এখন দেখছি চারদিকে জঙ্গল হয়ে গিয়েছে। ওরা রাতে থাকতে দিত না। নারীদের উপর নির্যাতন করে। মেয়েদের কাপড় ধরে টানাটানি করে। মদ বিক্রি হয়। মদের প্যাকেট করার জন্য ডাকে। রাতে মদের প্যাকেট তৈরির জন্য ডাকে মানে তো সবটাই বুঝতে পারছেন। বলতেও লজ্জা পাচ্ছি। স্বপন খাঁড়া, স্বপন খাঁড়া ওরাই ডাকে। ওরাই চোলাই মদ বিক্রি করে। এলাকার তৃণমূল নেতা। যাইনি বলে মারধর করেছে। বাড়ির ছেলেদেরও মারধর করেছে। ওরাও ঘর ছাড়া।  পুলিশ নিজে এসে মেরেছে। এখন এই বাড়িতে ফিরলেও থাকব কী করে বুঝতে পারছি না।”

ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকার রাজনৈতিক মহলেও শুরু হয়েছে তীব্র চাপানউতোর। তোপ দেগেছে বিজেপি। হাওড়া গ্রামীণ জেলার বিজেপি নেতা অরুণ উদয় পাল চৌধুরী সুর চড়িয়ে বলেন, “গোটা বাংলার নানা জায়গাতেই সন্দেশখালির মতো এই ছবি আছে। ভয়ে মানুষ ভয়ে কথা বলে না। উলুবেড়িয়া লোকসভা কেন্দ্রেও এরকম অনেক জায়গা যেখানে প্রতিনিয়ত মায়েরা লাঞ্ছিত হচ্ছে। চন্দ্রপুরের মায়েরা আজ চার বছর ধরে ঘর ছাড়া। সেখানেও সন্দেশখালির মতো তাঁদের রাতে ডাকা হতো।”  

অভিযোগ প্রসঙ্গে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য স্বপন খাঁড়া বলছেন, আমি মদ খাই না। আমি চোলাই বিক্রিও করি না। এলাকার আরও লোকজনকে জিজ্ঞেস করলেই সবটা জানতে পারবেন স্বপন খাঁড়া কোন ধরনের ছেলে। ওরা আমার ভাইকে মার্ডার করেছে। সেই সূত্রপাতে ওরা ঘর ছাড়া ছিল। আমি নিজে তো এখানেও থাকি না। ভাড়া ঘরে থাকি। ওরা যে অভিযোগ করছে পুরোটাই মিথ্যা অভিযোগ।