AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Garchumuk: ঝিলমিল জল, মাঝে চর, সেখানেই চলছে ‘রঙিন কাজ’, গড়চুমুকে ‘হাত বদলে’র খেলায় নাম জড়াল কর্মাধ্যক্ষও!

Garchumuk: পরিমল বলেন, পূর্বপুরুষরা নদীর চর দখল করে রেখেছিল। সেটা বর্তমানে বে দখল হয়ে যাচ্ছিল বলে, স্থানীয় তৃণমূল নেতা ও পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ দীপক দাসকে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে।

Garchumuk: ঝিলমিল জল, মাঝে চর, সেখানেই চলছে 'রঙিন কাজ', গড়চুমুকে 'হাত বদলে'র খেলায় নাম জড়াল কর্মাধ্যক্ষও!
গড়চুমুকে চলছে সেই ব্যবসাImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Dec 02, 2023 | 9:08 AM
Share

উলুবেড়িয়া: দামোদর থেকে বালি ও মাটি বিক্রির অভিযোগ আগে থেকেই ছিল। এবার একধাপ এগিয়ে দামোদরের চর বিক্রির অভিযোগ উঠল পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে। যদিও শ্যামপুর ২ পঞ্চায়েত সমিতির জনস্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ দীপক দাস অভিযোগ অস্বীকার করেন । হাওড়া জেলার অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র গড়চুমুক। দামোদর ও হুগলি নদীর সংযোগস্থলে এই পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠেছে। এর পাশ দিয়ে চলে গিয়েছে শ্যামপুর গড়চুমুক রাস্তা। যেটাকে নতুন রাস্তা বলা হয়। এর পাশেই রয়েছে পুরানো দামোদর। নতুন রাস্তার দামোদারের ওপর তৈরি হয়েছে সেতু। তার পাশেই শ্যামপুর ২ ব্লকের বাড়গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন দামোদরের চর বেআইনিভাবে বিক্রি হচ্ছে বলে অভিযোগ ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,  এই চর দীর্ঘদিন ধরে দখল করে রেখেছিল স্থানীয় শিক্ষক পরিমল মণ্ডলের পরিবার । পরিমল বলেন, পূর্বপুরুষরা নদীর চর দখল করে রেখেছিল। সেটা বর্তমানে বে দখল হয়ে যাচ্ছিল বলে, স্থানীয় তৃণমূল নেতা ও পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ দীপক দাসকে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। এরপর তিনি কী করেছেন, জানা নেই। দামোদরের ওই চরে দেওয়া হচ্ছে পাঁচিল।

যিনি পাঁচিল দিচ্ছেন মুসিয়ার রহমান মোল্লা ওরফে সাহেব, তাঁর বক্তব্য, তিনি পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ দীপক দাসের থেকে ওই জায়গা কিনেছেন। দামোদরের চরে পাঁচিল দেওয়া হচ্ছে, এই ছবি সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। যদিও স্থানীয় বাসিন্দারা সেইভাবে মুখ খুলতে চাননি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, যেভাবে দামোদরের চর দখল হয়ে যাচ্ছে, এবং যেখান সেখান থেকে মাটি কাটা হচ্ছে,বালি তোলা হচ্ছে। সেটা আগামী দিন খুব ক্ষতিকারক। সবকিছু সাথে শাসক দলের নেতারা জড়িত। তাই ভয়ে কিছু বলা যায়নি।

পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ দীপক দাস বলেন, দামোদরের চর কেনাবেচার সঙ্গে কোনওরকম জড়িত নই। দখলদারি পরিমল মণ্ডল ও তাঁর ভাইয়েরা চর দীর্ঘদিন দখল করে ছিল। পরে তারা ওই চরটি মুসিয়ার রহমান মোল্লাকে বিক্রি করে। ওই চোরের মধ্যে কিছু অসামাজিক কাজ চলছিল, গাঁজার ঠেক বসতো প্রতিদিন। যিনি ওই চরটি পরিমলদের কাছ থেকে কিনেছিলেন, তিনি দখল নিতে পারছিলেন না।

তাঁর বক্তব্য, ওই এলাকার জনপ্রতিনিধি হিসেবে তাঁকে বিষয়টি জানানো হয়। তিনিই পুলিশকে বলে গাঁজার ঠেক তুলে দিয়েছেন বলে দাবি করেন। চর কেনাবেচার মধ্যে  তিনি ছিলেন না বলেই দাবি করেছেন।