Howrah: দেড়শো ছেলে, রড, ছুরি, ভোজালি- বিয়ে নিয়ে সালিশি করতে তৃণমূল নেতার ‘অ্যাকশন সিনেমা’

Supradeep Mondal | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Jul 09, 2024 | 5:04 PM

Howrah: কিন্তু শাহাবুদ্দিন পালালেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় না। খলিলের দল শাহাবুদ্দিনের পিছু নেয়। শাহাবুদ্দিনের বাড়ির কিছুটা দূরে তাঁর ভাইপোর বাড়ি। অভিযোগ, শাহাবুদ্দিন সেই বাড়িতে লুকিয়ে আছেন এই সন্দেহে সেই বাড়িতেও ব্যাপক তাণ্ডব চালায় হামলাকারীরা।

Howrah: দেড়শো ছেলে, রড, ছুরি, ভোজালি- বিয়ে নিয়ে সালিশি করতে তৃণমূল নেতার অ্যাকশন সিনেমা
বাঁ দিকে অভিযুক্ত খলিল আহমেদ
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

হাওড়া: দাম্পত্য কলহ। আর তা মেটাতে সালিশি সভা। সেই সভা থেকেই ব্যবসায়ীর বাড়িতে তাণ্ডব. চলল রীতিমতো লুঠপাট। ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার সাঁকরাইলের কান্দুয়ায়। কাঠগড়ায় আবারও তৃণমূল। পাঁচলার জুজুরসাহা গ্রাম পঞ্চায়েতে উপপ্রধান শেখ খলিল আহমেদের নেতৃত্বে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। আলমারি ভেঙে চল্লিশ হাজার টাকা নগদ, সোনার গয়না এবং দামী মোবাইল সেট সহ যাবতীয় জিনিসপত্র লুঠ গিয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত এক জনকেও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,  পাঁচলার ব্যবসায়ী শাহাবুদ্দিন সেপাই। জানা যাচ্ছে, তাঁর মেয়ের বিয়ে নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে মনোমালিন্য হয়। কিছুদিন আগে স্ত্রী রাগ করে মেয়েকে নিয়ে বাড়ি ছেড়ে বাবার বাড়িতে চলে যান। সোমবার সন্ধ্যায় সমস্যা মিটিয়ে নেওয়ার জন্য শাহাবুদ্দিনের বাড়িতে একটি সভা ডাকা হয়।  অভিযোগ,  সেই সময় পাঁচলার জুজুরসাহা গ্রাম পঞ্চায়েতে উপপ্রধান শেখ খলিল আহমেদের নেতৃত্বে ১৫ থেকে ২০ জন যুবক আসেন। তাঁরা আলোচনার মাঝেই শাহাবুদ্দিনকে গালিগালাজ এবং মারধর করেন বলে অভিযোগ। এরপর খলিল ফোন করে তাঁর দলকে ডাকেন।

ব্যবসায়ীর দাবি, সেই সময় ঘটনাস্থলে দুটি ম্যাটাডোর এবং ৫০ টি বাইকে করে প্রায় ১৫০ ছেলে ওই বাড়িতে উপস্থিত হয়। তাঁদের অধিকাংশের হাতে লাঠি, রড, ছুরি এবং ভোজালি ছিল বলে অভিযোগ।  জানা যাচ্ছে, সে সময়ে  উপস্থিত ছিলেন কান্দুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে ভয়ে পালিয়ে যান তিনিও। ঘটনাস্থল থেকে পালান শাহাবুদ্দিন।

কিন্তু শাহাবুদ্দিন পালালেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় না। খলিলের দল শাহাবুদ্দিনের পিছু নেয়। শাহাবুদ্দিনের বাড়ির কিছুটা দূরে তাঁর ভাইপোর বাড়ি। অভিযোগ, শাহাবুদ্দিন সেই বাড়িতে লুকিয়ে আছেন এই সন্দেহে সেই বাড়িতেও ব্যাপক তাণ্ডব চালায় হামলাকারীরা। আলমারি ভেঙে চল্লিশ হাজার টাকা নগদ, সোনার গয়না এবং দামি মোবাইল সেট সহ যাবতীয় জিনিসপত্র নিয়ে তারা পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় সাঁকরাইল থানার পুলিশ। এই ঘটনার দ্বারা তদন্ত শুরু হয়েছে। হামলার ছবি পুলিশের হাতে এসেছে।

শাহাবুদ্দিনের বক্তব্য, “আমার মেয়ের এক জায়গায় পাকা দেখা হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু আমার স্ত্রীয়ের এক আত্মীয়ের সঙ্গে মেয়ের সম্পর্ক ছিল। তার সঙ্গেই মেয়েকে পাঠিয়ে দেয় আমার স্ত্রী। তারপর ভয়ে বাড়ি ছেড়ে চলে যায়। এরপর আমাকে ওদের তরফেই বলা হয়  সভা হবে। বাড়ির লোক কথা বলবে। তাই একাই গিয়েছিলাম। কিন্তু দেখি খলিলের দল এসেছে। তারপর তো এই কাণ্ড।”

পুলিশ সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। এর আগে একাধিকবার বিভিন্ন ঘটনায় খলিল আহমেদের বিরুদ্ধে একাধিক অসামাজিক কার্যকলাপে যুক্ত থাকার অভিযোগ উঠেছে। আহমেদের বিরুদ্ধে একাধিক অসামাজিক কার্যকলাপে যুক্ত থাকার অভিযোগ ওঠে। ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্তরা। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। এই ঘটনা প্রসঙ্গে মন্ত্রী অরূপ রায় বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী বারবারই বলেছেন, কেউ যদি গুন্ডাগিরি করে, পুলিশ আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ করবে। এক্ষেত্রেও তেমনটাই হবে। কাউকেই রেয়াত করা হবে না। কেউ বাজে লোক ঢুকে পড়েছে দলের মধ্যে। দুষ্কৃতীদের কোনও রাজনৈতিক পরিচয় হয় না।আমি পুলিশ কর্তাদের সঙ্গে কথা বলে নিয়েছি।”

Next Article