হাওড়া: আরজি কর হাসপাতালে আর্থিক তছরুপের মামলায় আগেই সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার হয় দুই ভেন্ডার সুমন হাজরা এবং বিপ্লব সিংহ। তাঁরা দুজনেই আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন সুপার সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ ছিলেন। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে বেশ কয়েকজন নতুন নাম উঠে আসে। আজ সকালে কেন্দ্রীয় এজেন্সি ইডি-র ছয় সদস্যের একটি তদন্তকারী দল কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের নিয়ে ‘মা তারা ট্রেডার্স’ কোম্পানির মালিক বিপ্লব সিংহের সাঁকরাইল হাটগাছার বাড়িতে হানা দেন।
ইডি আধিকারিকরা বিপ্লবের পরিবারের লোকজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। স্থানীয় সূত্রে খবর, আগে বিপ্লব ছবি আঁকতেন। ছাপাখানার বিভিন্ন ছবি আঁকার কাজের পাশাপাশি ছোটদের ছবি আঁকা শেখাতেন। কিন্তু সাত আট বছর আগে সাঁকরাইল বাসুদেবপুরের ওষুধ ব্যবসায়ী সুমন হাজরার সঙ্গে পরিচয়ের পর তার ভাগ্য বদলে যায়। আর জি কর হাসপাতালের প্রাক্তন সুপার সন্দীপ ঘোষের সঙ্গে পরিচয়ের পর বিপ্লব ‘মা তারা ট্রেডার্স’ নামে একটি কোম্পানি খোলেন। সেই কোম্পানি আরজি কর হাসপাতাল সহ কলকাতার বেশ কয়েকটি হাসপাতালে চিকিৎসার যন্ত্রপাতি এবং বিভিন্ন চিকিৎসার সামগ্রী সরবরাহ করতেন।
গত ৫ বছরে আমূল বদলে যায় সে। বাড়িতে কালীপুজোর দিন গোটা গ্রামের লোকেদের নেমন্তন্ন করে খাওয়াতেন। স্থানীয় এলাকাতে বেশ কিছু সম্পত্তি কেনেন। কীভাবে এত কম সময়ে তার আর্থিক প্রতিপত্তি কীভাবে হল, তা খতিয়ে দেখতে এর আগে সিবিআই এর একটি দল গত ২৫ শে অগস্ট তাঁর বাড়িতে হানা দেয় এবং প্রচুর নথি বাজেয়াপ্ত করে। এরপর কয়েক দফা জিজ্ঞাসাবাদের পর ২ সেপ্টেম্বর রাতে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয় বিপ্লব ও সুমন।
কেন্দ্রীয় এজেন্সির হেফাজতে থেকে নতুন তথ্য উঠে আসার পর আজ ইডির এক তদন্তকারী দল তাঁর বাড়িতে হানা দেয়। বিভিন্ন কাগজপত্র খতিয়ে দেখেন। এই মুহূর্তে সমস্ত কাগজপত্র খতিয়ে দেখছেন ইডি আধিকারিকরা। একইসঙ্গে ইডির আরও একটি তদন্তকারী দল বিপ্লবের পরিচিত কৌশিক কোলের বাসুদেবপুর দাশ পাড়ার বাড়িতে যায়। সেখানে ইডি আধিকারিকরা কৌশিককে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, কৌশিক ইনকাম ট্যাক্স, সেল ট্যাক্স সহ বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার আর্থিক হিসেবনিকেশের কাজ করতেন। তবে বিপ্লব সিংহ এবং সুমন হাজরার সঙ্গে বন্ধুত্বের পর তার আচার ব্যবহারে পরিবর্তন লক্ষ্য করেন গ্রামবাসীরা।
আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)