হাওড়া: গ্রামেরই এক যুবকের সঙ্গে প্রেম সম্পর্ক ছিল, তা প্রতিবেশীরা জানতেন। তারপর একদিন হঠাৎ পাড়ার বউ উধাও হয়ে গেলেন। দুদিন বাদে গৃহবধূর খোঁজ মিললেও, খোঁজ মেলে না তাঁর প্রেমিকের। পরে চাপের মুখে ওই মহিলাই স্বীকার করেন, তাঁর প্রেমিক নাকি নদীতে ঝাঁপ দিয়েছেন। তারপর থেকে আর খোঁজ মিলছে না। ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক শোরগোল উলুবেড়িয়ার পীরপুর গ্রামে। অভিযুক্ত গৃহবধূর বিরুদ্ধে অপহরণের মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রামের এক গৃহবধূ পূরবী রায় মণ্ডলের সঙ্গে গ্রামেরই যুবক সায়ন হাজরার বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। গত ২৯ মে থেকে দুজনেই নিখোঁজ ছিল। যুবকের পরিবারের পক্ষ থেকে উলুবেড়িয়া থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়। এদিকে সপ্তাহখানেক আগে ওই গৃহবধূ বাড়িতে ফিরে আসেন। গ্রামের বাসিন্দাদের বক্তব্য, সায়ন কোথায়, জানতে চাইলে নানান কথা বলতে থাকেন তিনি। রবিবার বিকালে গ্রামের মধ্যে ওই গৃহবধূকে নিয়ে একটি সালিশি সভা হয়।
গ্রামবাসীদের দাবি, সালিশি সভায় সকলের চাপে পড়ে গৃহবধূ স্বীকার করেন সায়ন কোলাঘাট সেতু থেকে রূপনারায়ণ নদে ঝাঁপ দিয়েছেন। এরপরই উত্তাল হয়ে ওঠে পীরপুর গ্রাম। গৃহবধূ পূরবী রায় মণ্ডল ও তাঁর বাবা মাকে গ্রামের মানুষ একটি ঘরে আটকে রাখেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী। একটা ঘরের বন্ধ করে রেখে বাইরে বিক্ষোভ চলতে থাকে। পূরবী ও তাঁর বাবা মাকে উদ্ধার করার চেষ্টা করেন। কিন্তু গ্রামের বাসিন্দারা তাঁদের ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। পরে বিশাল বাহিনী তাঁদের উদ্ধার করে উলুবেড়িয়া থানায় নিয়ে যায়। আজ সোমবার পূরবী ও তাঁর বাবা মাকে উলুবেড়িয়া আদালতে পেশ করা হবে।