AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Howrah Minor Body: ‘বিকালে নমাজের পরই হঠাৎ উধাও’, হাওড়ায় দুই নাবালকের দেহ উদ্ধারে ক্রমেই ঘনীভূত রহস্য

Howrah Minor Body: আদৌ জলে ডুবে মৃত্যু, যদি তাই নয়, তাহলে চোখের কোণায় কেন ক্ষত? পরিবার অবশ্য তুলছে খুনের অভিযোগ। সাঁকরাইলের দুই নাবালকের দেহ উদ্ধার ভাবাচ্ছে পুলিশকে। 

Howrah Minor Body: 'বিকালে নমাজের পরই হঠাৎ উধাও', হাওড়ায় দুই নাবালকের দেহ উদ্ধারে ক্রমেই ঘনীভূত রহস্য
হাওড়ায় উদ্ধার দুই নাবালকের দেহ
| Edited By: | Updated on: Mar 28, 2023 | 11:39 AM
Share

হাওড়া: গঙ্গা থেকে উদ্ধার হওয়া দুই মৃত নাবালকের পরিচয় জানতে পেরেছে পুলিশ। তবে তাদের মৃত্যুর কারণ নিয়ে ক্রমেই ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। আদৌ জলে ডুবে মৃত্যু, যদি তাই নয়, তাহলে চোখের কোণায় কেন ক্ষত? পরিবার অবশ্য তুলছে খুনের অভিযোগ। সাঁকরাইলের দুই নাবালকের দেহ উদ্ধার ভাবাচ্ছে পুলিশকে।  জানা গিয়েছে, উদ্ধার হওয়া দুই নাবালকেরই বয়স দশ থেকে বারো বছরের মধ্যে। তারা হাওড়ার সাঁকরাইলের বাদামতলা এলাকার বাসিন্দা। সোমবার রাতে সাকরাইলের পাঁচপাড়া গঙ্গার ঘাট থেকে তাদের দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদের নাম মহম্মদ লাভিস ও মহম্মদ আসিফ। একজনের পরনে ছিলো কালো রঙের হাফ প্যান্ট। অন্যজনের সাদা রঙের। গায়ে কিছুই ছিল না। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দুই নাবালক বিকাল বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল খেলতে। প্রতিদিনই তারা বের হয়। সন্ধ্যায় নির্দিষ্ট সময়ে বাড়ি ফিরে আসে তারা। কিন্তু সোমবার রাতে নির্দিষ্ট সময়ে পেরিয়ে যাওয়ার পরও বাড়ি না ফেরায় পরিবারের সদস্যরা খোঁজ শুরু করেন। এদিকে, রাতেই আবার পাঁচপাড়া গঙ্গার ঘাট থেকে দুই নাবালকের দেহ ভেস থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। দু’জনের ছবি পাঠানো হয় বিভিন্ন থানাতে।

কীভাবে দু’জন নাবালকের দেহ একইসাথে গঙ্গায় ভেসে এল, তা নিয়ে রহস্য দানা বাঁধে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, দুজনের পোশাক এবং জুতো গঙ্গার পাড়ে রাত দশটা নাগাদ নজরে আসে। সেই সময় গঙ্গায় ভাটার কারণে জলস্তর নেমে গিয়েছে, ফলে মৃতদেহ দুটি তাঁরা দেখতে পান। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ মনে করছে, আশপাশের এলাকা থেকে ছোট ছেলেরা পার্কে খেলাধুলার পর গঙ্গায় স্নান করতে নামে। এক্ষেত্রেও তেমনই হয়েছে। সেসময়ে হয়তো গঙ্গায় জোয়ার চলে এসেছিল। জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় টাল সামলাতে পারেনি তারা। নির্দিষ্ট জায়গায় গঙ্গার গভীরতার কারণে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে মনে করছে পুলিশ। গোটা ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে সাঁকরাইল থানার পুলিশ। যদিও পরিবারে অভিযোগ, তাদেরকে খুন করা হয়েছে। এক নাবালকের চোখে কোণায় ক্ষতচিহ্নও দেখা গিয়েছে।

দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। মৃত এক নাবালকের মায়ের বক্তব্য, “আমার ছেলে সারাদিন এখানে খেলেছে। আমাদের এলাকার লোকও ওদের দেখেছে। ওর সঙ্গেই ছিল আমার বোনের ছেলে। বিকালে দুজন নমাজও পড়তে যায়। তারপর আর ওদের দেখা যায়নি। ওদেরকে খুনই করা হয়েছে।” এক্ষেত্রে অবশ্য নির্দিষ্ট করে কারোর নামে অভিযোগ করেননি তাঁরা। পুলিশ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলছে। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে।