Mamata Banerjee on Howrah Municipality: ‘রথীন বারোটা বাজিয়ে দিয়েছে…’, হাওড়া পুরসভা নিয়ে সবার কাছা খুললেন মমতা
Mamata Banerjee on Howrah Municipality: মুখ্যমন্ত্রী এ দিন বলেছেন, "প্ল্যান পাশ করতে গিয়েও হয়রানির শিকার হতে হয় সাধারণ মানুষকে। অথচ আমরা অনলাইন করে দিয়েছিলাম। তা সত্ত্বেও সেটা কাজে লাগানো হয়নি। এর মধ্যে অনেকে যুক্ত। সাংবাদিকদের সামনে নাম নিলাম না। একটা গ্রুপ তৈরি হয়েছে। খালি জায়গা দেখলেই লোক বসিয়ে দিচ্ছে।"
![Mamata Banerjee on Howrah Municipality: 'রথীন বারোটা বাজিয়ে দিয়েছে...', হাওড়া পুরসভা নিয়ে সবার কাছা খুললেন মমতা Mamata Banerjee on Howrah Municipality: 'রথীন বারোটা বাজিয়ে দিয়েছে...', হাওড়া পুরসভা নিয়ে সবার কাছা খুললেন মমতা](https://images.tv9bangla.com/wp-content/uploads/2024/06/Large-Image-Mamata-Banerjee-Nabanna-2.jpg?w=1280)
হাওড়া: রাজ্যের পুর পরিষেবা নিয়ে তীব্র অসন্তোষ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সোমবার রাজ্যের প্রায় সব পুরসভার পুরপিতাদের নিয়ে বৈঠকে বসেছেন মমতা। আর বৈঠকের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রায় সমস্ত প্রশাসনিক আধিকারিকদের বিরুদ্ধে উষ্মা প্রকাশ করেন তিনি। এ দিনের বৈঠক থেকে হাওড়া পৌরনগরমের ব্যবস্থা নিয়ে কার্যত ক্ষোভ উগরে দেন মুখ্যমন্ত্রী। জমি দখল থেকে শুরু করে একাধিক দুষ্কৃতী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন তিনি। নাম না করে সেখানকার চারজন বিধায়কের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন মমতা।
এ দিনের বৈঠক থেকে মমতা বলেন, “সারা হাওড়াতে বেআইনি ভবনে ভরে গিয়েছে। রথীন যখন চেয়ারম্যান ছিল হাওড়াটাকে বারোটা বাজিয়ে দিয়ে গিয়েছে। ওখানে তো বোর্ড মেম্বার, কখনও কমিশনার,ডিএম এসপি, মন্ত্রী আছে।” একই সঙ্গে তিনি বলেন, “সরু রাস্তায় বাড়ি বানানো হয়েছে। অ্যাম্বুলেন্স ঢোকার জায়গা পর্যন্ত নেই। অথচ কোনও অ্যাকশন নেওয়া হয় না।”
মুখ্যমন্ত্রী এ দিন বলেছেন, “প্ল্যান পাশ করতে গিয়েও হয়রানির শিকার হতে হয় সাধারণ মানুষকে। অথচ আমরা অনলাইন করে দিয়েছিলাম। তা সত্ত্বেও সেটা কাজে লাগানো হয়নি। এর মধ্যে অনেকে যুক্ত। সাংবাদিকদের সামনে নাম নিলাম না। একটা গ্রুপ তৈরি হয়েছে। খালি জায়গা দেখলেই লোক বসিয়ে দিচ্ছে।”
মমতা আরও বলেন,”হাওড়ায় কোনও বোর্ড নেই। এসডিও-র তত্ত্বাবধানে আছে। তিনি কোনও কাজ করছেন না। ওইখানকার চারজন বিধায়ক অ্যাডভানটেজ নিচ্ছে। যে যে এলাকায় বোর্ড নেই নির্বাচিত প্রতিনিধিরা ভাবছে এটা আমার সম্পত্তি।” বিজেপি নেতা রথীন চক্রবর্তী বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী ভাল করেই জানেন কারা-কারা দোষী। আমরা নিরপেক্ষভাবেই কাজ করেছিলাম। আর প্রয়োজনে উনি তদন্ত করুন।”