হাওড়া: ক্রিসমাস কার্নিভাল ঘিরে রাজ্যের এক হেভিওয়েট মন্ত্রীর সামনে আরেক মন্ত্রীর সঙ্গে পুরপ্রশাসকের হাতাহাতি। বৃহস্পতিবার এমনই দৃশ্য দেখা গেল হাওড়ার ডুমুরজলায়। রাজ্যের ক্রীড়া দফতরের প্রতিমন্ত্রী শিবপুরের বিধায়ক মনোজ তিওয়ারি তেড়ে যান হাওড়ার পুরপ্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান সুজয় চক্রবর্তীর দিকে। তখন সামনে দাঁড়িয়ে ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। এ নিয়ে এই মুহূর্তে হইহই। সেই ভিডিয়ো ছড়িয়েছে ঝড়ের গতিতে। আর এরপরই কার্নিভাল মঞ্চে অরূপ বিশ্বাস উঠলেন। মনোজ-সুজয়কে মঞ্চে তুলে চেষ্টা করলেন যাতে ‘দাগ’ ঢাকা যায়, বিবাদ মেটে।
মঞ্চে অরূপ বিশ্বাস বলেন, “কাজ করতে গেলে কোথাও না কোথাও ভুল হয়। পাঁচজনের পরিবার হলে সেখানেও মনোমালিন্য হয়। এটাও আমাদের পরিবার। সমস্যা ছিল, তবে সে সমস্যা অতীত। কার্নিভাল চলবে। পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছি। পার্কিংটা পুলিশ প্রশাসনই দেখবে। ২ তারিখের বদলে ৩ তারিখ অবধি কার্নিভাল চলবে। আমি চাইব সুজয়বাবু ও মনোজ হাতে হাত রেখে এটা করবে। মেলা নবীন প্রবীণের মিলনক্ষেত্র। ভুল আমরা করি, সংশোধনও করে নিই। আমার মনে হয় আমাদের ভাইদের মধ্যে আর কোথাও কিছু নেই।”
তবে অরূপের বক্তব্য, এখানে বিবাদের কিছুই হয়নি। বরং তিনি বলেন, “পায়ে পায়ে লেগে গিয়েছে। এত মানুষ একসঙ্গে ছিলেন। ছোট্ট গেটের একদিক দিয়ে মনোজ, আরেক দিক দিয়ে সুজয় আসছিলেন। যা হয় হুড়মুড়িয়ে পড়েছেন। এখানে বচসার কিছু নেই। আমরা সকলে এক। যা ঘটেছে সবটা অতীত। এক হয়ে কাজ করছি।”
অরূপের পাশে বসে এরপর মনোজও অনেকটাই শান্ত। তাঁকে বলতে শোনা গেল, “ছোট জায়গায় এন্ট্রি। তাই পায়ে পায়ে লাগার কারণে একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। এখন মিটে গিয়েছে।” কিন্তু সত্যি সবটা মিটল কী, এখনও নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না দলের নেতারাই।
বুধবার পার্কিং নিয়ে গোলমালের জেরে বন্ধ হয়ে যায় হাওড়া কার্নিভাল। পুরনিগম এই কার্নিভাল দেখে। গতকালই সুজয় চক্রবর্তী বলেছিলেন, পার্কিং নিয়ে শিবপুরের বিধায়ক মনোজ তিওয়ারির অভিযোগ ছিল। তাঁর সঙ্গে আলোচনাও হয়। কিন্তু এরপরও মন্ত্রীর অনুগামীরা দীর্ঘক্ষণ কার্নিভালে জটলা পাকিয়ে রাখেন বলে অভিযোগ। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হতে পারত, তাই কার্নিভাল বন্ধ রাখার কথা বলতে হয়। সুজয় চক্রবর্তী এদিন বলেন, “ওই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে আমার মেলা বন্ধ করা ছাড়া কোনও অপশন ছিল না। সমস্ত নেতৃত্বকে জানিয়েই সিদ্ধান্ত হয়।” তবে আবারও চালু হল কার্নিভাল।
হাওড়া: ক্রিসমাস কার্নিভাল ঘিরে রাজ্যের এক হেভিওয়েট মন্ত্রীর সামনে আরেক মন্ত্রীর সঙ্গে পুরপ্রশাসকের হাতাহাতি। বৃহস্পতিবার এমনই দৃশ্য দেখা গেল হাওড়ার ডুমুরজলায়। রাজ্যের ক্রীড়া দফতরের প্রতিমন্ত্রী শিবপুরের বিধায়ক মনোজ তিওয়ারি তেড়ে যান হাওড়ার পুরপ্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান সুজয় চক্রবর্তীর দিকে। তখন সামনে দাঁড়িয়ে ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। এ নিয়ে এই মুহূর্তে হইহই। সেই ভিডিয়ো ছড়িয়েছে ঝড়ের গতিতে। আর এরপরই কার্নিভাল মঞ্চে অরূপ বিশ্বাস উঠলেন। মনোজ-সুজয়কে মঞ্চে তুলে চেষ্টা করলেন যাতে ‘দাগ’ ঢাকা যায়, বিবাদ মেটে।
মঞ্চে অরূপ বিশ্বাস বলেন, “কাজ করতে গেলে কোথাও না কোথাও ভুল হয়। পাঁচজনের পরিবার হলে সেখানেও মনোমালিন্য হয়। এটাও আমাদের পরিবার। সমস্যা ছিল, তবে সে সমস্যা অতীত। কার্নিভাল চলবে। পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছি। পার্কিংটা পুলিশ প্রশাসনই দেখবে। ২ তারিখের বদলে ৩ তারিখ অবধি কার্নিভাল চলবে। আমি চাইব সুজয়বাবু ও মনোজ হাতে হাত রেখে এটা করবে। মেলা নবীন প্রবীণের মিলনক্ষেত্র। ভুল আমরা করি, সংশোধনও করে নিই। আমার মনে হয় আমাদের ভাইদের মধ্যে আর কোথাও কিছু নেই।”
তবে অরূপের বক্তব্য, এখানে বিবাদের কিছুই হয়নি। বরং তিনি বলেন, “পায়ে পায়ে লেগে গিয়েছে। এত মানুষ একসঙ্গে ছিলেন। ছোট্ট গেটের একদিক দিয়ে মনোজ, আরেক দিক দিয়ে সুজয় আসছিলেন। যা হয় হুড়মুড়িয়ে পড়েছেন। এখানে বচসার কিছু নেই। আমরা সকলে এক। যা ঘটেছে সবটা অতীত। এক হয়ে কাজ করছি।”
অরূপের পাশে বসে এরপর মনোজও অনেকটাই শান্ত। তাঁকে বলতে শোনা গেল, “ছোট জায়গায় এন্ট্রি। তাই পায়ে পায়ে লাগার কারণে একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। এখন মিটে গিয়েছে।” কিন্তু সত্যি সবটা মিটল কী, এখনও নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না দলের নেতারাই।
বুধবার পার্কিং নিয়ে গোলমালের জেরে বন্ধ হয়ে যায় হাওড়া কার্নিভাল। পুরনিগম এই কার্নিভাল দেখে। গতকালই সুজয় চক্রবর্তী বলেছিলেন, পার্কিং নিয়ে শিবপুরের বিধায়ক মনোজ তিওয়ারির অভিযোগ ছিল। তাঁর সঙ্গে আলোচনাও হয়। কিন্তু এরপরও মন্ত্রীর অনুগামীরা দীর্ঘক্ষণ কার্নিভালে জটলা পাকিয়ে রাখেন বলে অভিযোগ। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হতে পারত, তাই কার্নিভাল বন্ধ রাখার কথা বলতে হয়। সুজয় চক্রবর্তী এদিন বলেন, “ওই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে আমার মেলা বন্ধ করা ছাড়া কোনও অপশন ছিল না। সমস্ত নেতৃত্বকে জানিয়েই সিদ্ধান্ত হয়।” তবে আবারও চালু হল কার্নিভাল।