Howrah Deadbody Found: ঝুলছে মেয়ে, বিছানায় নিথর বৃদ্ধা, পাশে পড়ে স্বামীর ডেথ সার্টিফিকেট
Howrah: হাওড়ার ঘটনা। হাওড়ার নাজিরগঞ্জ তদন্ত কেন্দ্রের অধীনে পোদরা সরকার পাড়ার বাসিন্দা বিমলেন্দু মিত্র (৭২)।
হাওড়া: বাড়িতে থাকতেন তিনজন। স্বামী, স্ত্রী ও মেয়ে নিয়ে সংসার। তবে দীর্ঘদিন ধরেই স্বামীর শরীর অসুস্থ থাকায় চিন্তায় ছিলেন তাঁর মেয়ে ও স্ত্রী। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। কিডনির অসুখ থাকায় মৃত্যু হয় ব্যক্তির। আর ঠিক তার চারদিনের মধ্যেই ঘটে গেল এক ভয়ানক ঘটনা!
হাওড়ার ঘটনা। হাওড়ার নাজিরগঞ্জ তদন্ত কেন্দ্রের অধীনে পোদরা সরকার পাড়ার বাসিন্দা বিমলেন্দু মিত্র (৭২)। বিমলেন্দু বাবু, স্ত্রী সোমা মিত্র (৬৫) এবং অবিবাহিত মেয়ে অমৃতা মিত্রকে (৩৬) নিয়ে বাস করতেন। স্থানীয়রা বলছেন, মিত্র পরিবার প্রতিবেশীদের সঙ্গে তেমন একটা মেলামেশা করতেন না। জানা গিয়েছে, বৃদ্ধ এই মানুষটি দীর্ঘদিন ধরেই কিডনির অসুখে ভুগছিলেন।মেয়ে এবং স্ত্রী তাঁকে দক্ষিণ হাওড়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ডায়ালিসিস করতে নিয়ে যেতেন।
গত ২৬ এপ্রিল বিমলেন্দু বাবু মারা যান। সেদিনই স্ত্রী এবং মেয়েকে শেষবারের মতো দেখেছিলেন এলাকার বাসিন্দারা। গত তিনদিন ধরেই বাড়ির দরজা-জানালা বন্ধ ছিল। এরপর বিকাল নাগাদ ঘর থেকে তীব্র দুর্গন্ধ বের হতে থাকায় সন্দেহ হয় এলাকাবাসীর। তাঁরা নাজিরগঞ্জ তদন্ত কেন্দ্রে খবর দিলে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। পুলিশ দরজা ভেঙে দেখে, একটা ঘরের বিছানায় স্ত্রী সোমা মিত্র পড়ে রয়েছেন। আর তাঁর পাশে রয়েছে তাঁর স্বামীর ডেথ সার্টিফিকেট। পাশের ঘরে সিলিং ফ্যান থেকে ঝুলছে মেয়ে অমৃতা মিত্র।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, গৃহকর্তার মৃত্যুর শোক সহ্য করতে না পেরে মা এবং মেয়ে দু’জনেই আত্মহত্যা করেছেন। মৃতদেহ দু’টি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে ছুটে আসে পুলিশের পদস্থ কর্তারা। তাঁরা তদন্তের কাজ শুরু করেছে। গোটা ঘটনায় এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “আমরা নিচের তলায় থাকি। অনেকক্ষণ ধরেই একটা নোংরা গন্ধ পাচ্ছিলাম। পাশের বাড়ির লোকজনও একই কথা বলছিল। এরপর পাড়ার লোকরা মিলে পুলিশে খবর দিলাম। পুলিশ আসার পর দরজা ভাঙতেই দেখা গেল এই অবস্থা!”