Katwa: বাঁধের উপর বালি বোঝাই ট্রাক্টরের যাতায়াত, ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টে টাকা তোলার অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে
West Bengal: কাটোয়ার অজয় নদীর বাঁধ। বন্যার কবল থেকে এই শহরকে বাঁচাতে বহু বছর আগে দীর্ঘ কয়েক কিলোমিটার লম্বা বাঁধটি নির্মাণ করা হয়।
কাটোয়া: কাটোয়ার বুক চিরে প্রবাহিত হয়েছে অজয়। এই নদীই এখন বালি মাফিয়াদের সুখের জায়গা। অবাধে, অবৈধভাবে নদী বাঁধের উপর দিয়ে বালি বোঝাই ওভারলোড ট্রাক্টরের যাতায়াত। আর সবটা জানার পরও নিশ্চুপ প্রশাসন। উল্টে পুলিশের বিরুদ্ধেই অভিযোগ যে তারা টাকা তুলছে। অন্যদিকে, এলাকাবাসী প্রতিবাদ করলে বালি ব্যবসায়ীদের লাগাতার চোখরাঙানি আর হুমকি। অন্যদিকে, মহকুমা শাসক জামেলা ফতেমা জেবা নাকি বিষয়টিই জানেন না।
কাটোয়ার অজয় নদীর বাঁধ। বন্যার কবল থেকে এই শহরকে বাঁচাতে বহু বছর আগে দীর্ঘ কয়েক কিলোমিটার লম্বা বাঁধটি নির্মাণ করা হয়। যার একাংশ এখন বালি ব্যবসায়ীদের দখলে। দিন-রাত সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও এই বাঁধের উপর দিয়ে চলছে বালি বোঝাই ট্রাক্টরের যাতায়াত। ফলে দিন-দিন দুর্বল হয়ে পড়ছে মাটির তৈরি এই বাঁধ। এখন বাঁধটি জুড়ে শুধুই বালির স্তূপ। বালিগুলি বিক্রি করা হবে বলেই জানা যাচ্ছে। বাঁধ বরাবর রয়েছে দু’টি বালি তোলার ঘাট। যাদের সীমান্ত ও বৈধতা নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন। বর্তমানে বালি বোঝাই ট্রাক্টরের যাতায়াতে বাঁধের রাস্তা ভরে গিয়েছে গর্তে। মাটির বদলে রাস্তায় বালির আবরণ। প্রতিদিন ঘটছে দুর্ঘটনা। এছাড়াও বাঁধ লাগোয়া এলাকাবাসীরা দিবারাত্র ট্রাক্টর যাতায়াতের কারণে ধুলোয় অতিষ্ঠ। তাঁদের খাবারে ধুলো, বাড়িতে ভর্তি। তাই বাঁধের উপর দিয়ে এই বালি বোঝাই ট্রাক্টরের যাতায়াত বন্ধ না হলে বাঁধ ভেঙে বিপুল ক্ষতি হতে পারে বলে আশঙ্কা এলাকাবাসীদের।
সেই কারণে একজোটে বাঁধ বাঁচাতে বালি ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নেমেছিলেন এলাকাবাসী। কিন্তু বালি ব্যবসায়ীদের হুমকির মুখে পড়ে প্রাণের ভয়ে পিছু হটতে হয় তাঁদের। অভিযোগ, একদিকে বালি ব্যবসায়ী ও বালি বোঝাই ট্রাক্টরের কাছে পুলিশ টাকা নেওয়ায় বাঁধের উপর বাড়বাড়ন্ত ট্রাক্টরের। অন্য দিকে, প্রশাসনের একাংশের মদতে রমরমা বাঁধের উপর ট্রাক্টরের যাতায়াত।
তবে এই ঘটনায় সরব হয়েছেন পূর্ব বর্ধমান তৃণমূল জেলা সভাপতি তথা কাটোয়ার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “সরকারি নির্দেশে বাঁধের উপর দিয়ে ভারী বালির গাড়ি নিয়ে যাওয়া যায় না। বহু বার প্রশাসনের কাছে জানিয়েছিলাম। বালির ঘাট সরকার লিজ দিলে গাড়ি যাতায়াত করার রাস্তা সরকার ঠিক করে দেবে। আসলে কাটোয়ার বাঁধ বিস্তীর্ণ এলাকার ভবিষ্যৎ এই বাঁধের উপর নির্ভর করে। এই বাঁধ ভেঙে গেলে বড় ধরনের বিপর্যয় হতে পারে। প্রশাসন সামান্য রয়্যালিটি পাওয়ার আশায় চোখ কান বুজে ট্রাক্টর বা ভারী যানবাহন যাওয়ার অধিকার দিয়ে থাকে তা চরম অন্যায়। আবার প্রশাসনকে জানাব, কাজ না হলে এলাকাবাসীদের প্রতিরোধ করতে বলব।”