হাওড়া: বর্ষা মানেই জমা জল। সেই জমা জলে তড়িদাহত হয়ে মৃত্যু হয় ২২ বছরের এক ছাত্রীর। নাম পৌরবী দাস। হাওড়ার মালিপাচঘড়া থানা এলাকার ভৈরব ঘটক লেনের ঘটনা। এই ঘটনার পর গোটা এলাকা বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয় বলে খবর। টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়ে স্থানীয় এলাকা। প্রায় হাঁটু জল পার করেই চলাচল করতে হচ্ছে এলাকার লোকজনকে। এলাকায় অ্যাম্বুল্য়ান্স ঢুকতে, তাও সেই জল পার করেই।
স্থানীয় সূত্রে খবর, পৌরবী এমএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। ভৈরব ঘটক লেনের বাসিন্দা ছিলেন তিনি। এই বৃষ্টিতে তাঁর বাড়ির সামনেও হাঁটু জল। সেই জলেই যে মরণফাঁদ পাতা ছিল, এখনও বিশ্বাস করতে পারছে না দাস পরিবার। এখনও অবধি যা খবর পাওয়া গিয়েছে তাতে সৌরভীদের বাড়ির সামনে নির্মীয়মাণ বাড়ির বিদ্যুতের তার থেকেই দুর্ঘটনা ঘটে।
বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ৯টা নাগাদ মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে। পৌরবী একটি নিমন্ত্রণ বাড়িতে যাচ্ছিলেন। বাড়ির সামনে একটি তার ঝুলছিল। পৌরবীর হাতে ছাতা ছিল। তারই স্টিলের রডে তড়িদাহত হন তিনি। এরপরই লুটিয়ে পড়েন জলে। পাশেই পৌরবীর বাবার দোকান। বাবার ইলেক্ট্রিকের দোকান। মেয়েকে পড়ে যেতে দেখেই ছুটে আসেন তিনি। তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
এলাকার লোকজন এই ঘটনার পর ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাঁরা বলেন পুরপ্রশাসন এত বড় ঘটনার পর একবারও খোঁজ পর্যন্ত নেয়নি। তাঁঁদের অভিযোগ, দিনের পর দিন বৃষ্টি হলেই ঘরে জল ঢুকে যায়। কারও কোনও হেলদোল নেই। তাঁদের অভিযোগ, এখানে বারো মাসই বর্ষাকাল।
রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ রায় বলেন, প্রায় ৬ বছর হয়ে গেল নির্বাচন নেই হাওড়া পুরনিগমে। সমস্যা আছেই। জল জমার সমস্যাও এখানে আছে। মাস্টারপ্ল্যানের কথা হচ্ছে, তবে তারও বিশাল খরচ। কিন্তু জলনিকাশি ব্যবস্থা ঠিক না হলে সমস্যা থেকেই যাবে। তিনি বলেন, “একটা বাচ্চা মেয়ের প্রাণ চলে গেল সত্যিই খুব দুঃখের। আমি পুরপ্রশাসনকে বলব সেখানে গিয়ে বিষয়টা দেখতে।”