হাওড়া: মঙ্গলবার ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের’ ব্যানারে নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছিল। সেই অভিযানে পুলিশের পাশাপাশি আহত হয় বেশ কয়েকজন। তাঁদের দেখতে এসে বিস্ফোরক বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “জনগণ জেগেছে। সরকারের পালানোর সময় এসেছে। এবার জাতীয় পতাকা নিয়ে একসঙ্গে কালীঘাট,নবান্ন লালবাজার অভিযান হবে।”
শুভেন্দু বলেন,”অত্যাচারীরা শেষ কথা বলে না। তার প্রমাণ ব্রিটিশরা এদেশ ছেড়ে চলে গিয়েছে। এ রাজ্যে যা চলছে মানুষ তার জবাব দিচ্ছে। এরপর একসাথে নবান্ন,কালীঘাট ও লালবাজার তিন জায়গায় অভিযান হবে। অরাজনৈতিক ভাবে। জাতীয় পতাকা নিয়ে। পুলিশ দিয়ে এই আন্দোলন দমানো যাবে না। ” শুভেন্দুর দাবি, এই সরকার পুলিশ নির্ভর হয়ে গিয়েছে। তিনি বলেন, “তবে এই সব করে আটকানো যাবে না। নবান্ন অভিযানে পাঁচিল করেও আটকানো যায়নি। দক্ষিণ হাওড়ার মানুষ চ্যাটার্জী হাট ধরে এসে নবান্নের ভিতর পর্যন্ত ঢুকেছে। নড়িয়েছে সাড়ে তিন ঘণ্টা ধরে। বারোটা কুড়ি থেকে সাড়ে তিনটে পর্যন্ত এখানে। পাঁচটা পর্যন্ত বাবুঘাটে। আর এরপরে যেদিন আসবে তিন জায়গায় একসঙ্গে অভিযান হবে। কালীঘাট-লালবাজার-নবান্ন।” পাশাপাশি তাঁর প্রতিশ্রুতি, যে সকল ব্যক্তি আক্রান্ত হয়েছেন তাঁদের সেবাদান করবে বিজেপি। নার্সিংহোমের খরচ সহ আগামী একমাসের সংসারের খরচ দেওয়া হবে বলে জানান শুভেন্দু অধিকারী। কারণ এরা সকলে প্রান্তিক শ্রেণির মানুষ।পাশাপাশি আইনি সহায়তায় দেওয়া হবেও বলেও জানিয়েছেন।
বস্তুত, মঙ্গলবারের নবান্ন অভিযানের ঘটনায় আক্রান্তদের আজ দেখতে আসেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। হাওড়ার একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে বর্তমানে ভর্তি রয়েছেন পাঁচজন চিকিৎসাধীন।