AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Primary Teacher Case : চাকরি হারিয়েছেন দুই ভাই, সংবাদ মাধ্যমকে দেখেই দরজা বন্ধ

Primary Teacher Case : চাকরি বাতিলের তালিকায় হাওড়া গ্রামীণ জেলার 12 জন প্রাথমিক শিক্ষক ও শিক্ষিকার নাম রয়েছে। ওই ১২ জনের মধ্যে বেশিরভাগই শ্যামপুরের বাসিন্দা।

Primary Teacher Case : চাকরি হারিয়েছেন দুই ভাই, সংবাদ মাধ্যমকে দেখেই দরজা বন্ধ
ডাকাডাকি করলেও দরজা খুললেন না কেউ
| Edited By: | Updated on: Jun 17, 2022 | 10:01 PM
Share

হাওড়া : বছর পাঁচেক আগে চাকরি পেয়েছিলেন একই পরিবারের দুই ছেলে। আবার ওই এলাকারই একজন এই কয়েক বছরের মধ্যে স্কুলের টিচার-ইন-চার্জ হয়েছেন। কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে তাঁদের চাকরি গিয়েছে। আর সেই খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে দেখা গেল, কোনও বাড়ির দরজা বন্ধ। আবার কারও পরিবার সংবাদ মাধ্যমকে দেখেই বাড়ির দরজা বন্ধ করে দিলেন। কেউ আবার প্রশ্ন তুললেন, সংবাদ মাধ্যম কেন এসেছে তাঁদের বাড়ি।

হাইকোর্টের নির্দেশে ২৬৯ জন প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি গিয়েছে। তার মধ্যে হাওড়া গ্রামীণ জেলার ১২ জন শিক্ষক ও শিক্ষিকার নাম রয়েছে। ওই ১২ জনের মধ্যে বেশিরভাগই হাওড়ার শ্যামপুরের বাসিন্দা। শ্যামপুরেরই বাসিন্দা অনুপম মণ্ডল ও কৃষ্ণেন্দু মণ্ডল। তাঁরা দুই ভাই। বছর পাঁচেক আগে এলাকারই দুটি স্কুলে চাকরি পান দুই ভাই। তাঁদের নাম চাকরি বাতিলের তালিকায় রয়েছে। তাঁদের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেল, দোতলা পাকা বাড়ি।

TV9 বাংলার প্রতিনিধিকে দেখেই দরজা বন্ধ করে দেন অনুপম-কৃষ্ণেন্দুর পরিবারের কোনও একজন। বন্ধ দরজার ওপার থেকেই জানতে চান, কেন সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধি তাঁদের বাড়িতে এসেছেন। চাকরির বিষয়ে জানতে চাওয়ায় বললেন, “কে আপনাকে বলল চাকরি করে?” তারপরই বলেন, “আপনি আসছেন বলেই কি কথা বলতে হবে?”

তালিকায় নাম রয়েছে গার্গী রায়ের। বাড়ি শ্যামপুরের অযোধ্যায়। তাঁর পরিবারের কেউ বাড়ির দরজা খুললেন না। অনেকবার ডাকাডাকির পরও কোনও সাড়া দেননি কেউ।

শ্যামপুরের দেবরাজ মণ্ডলের নাম রয়েছে তালিকায়। তিনি নয়াচক জোয়ারগোড়ি করাতবেড়িয়া প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকতা করতেন। প্রধান শিক্ষক অবসর নেওয়ায় টিচার-ইন-চার্জের দায়িত্ব পালন করতেন তিনি। পড়ুয়ারা বলছে, দেবরাজ মণ্ডল তাদের ভালই পড়ান। তিনি টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন শুনে অনেকে অবাকও হন। দেবরাজ মণ্ডলের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, “দেখা যাচ্ছে যাঁর টাকা আছে, তিনিই চাকরি পাবেন। টাকা না দিলে চাকরি হচ্ছে না। ফলে যোগ্য প্রার্থীরা চাকরি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।”