Robbery: ব্যারাকপুর নয় টার্গেট ছিল হাওড়ার সোনার দোকান, দুষ্কৃতীদের বয়ানে আতঙ্কিত স্বর্ণব্যবসায়ী
Howrah: ব্যারাকপুরে সোনার দোকানে ঢুকে গুলি করে খুন করা হয় এক দোকান মালিকের ছেলেকে। এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করে ব্যারাকপুর কমিশনারেট।
হাওড়া: ব্যারাকপুরে (Barrackpore Robbery) সোনার দোকানে ডাকাতি ও খুনের ঘটনা ঘিরে নয়া তথ্য় এবার। সূত্রের খবর, এই দুষ্কৃতীদলের প্রথম টার্গেট ব্যারাকপুর ছিল না, ছিল নদীর ওপারে হাওড়া কদমতলার এক সোনার দোকান। ব্যারাকপুরের খবর সামনে আসার পরই আতঙ্কে হাওড়ার স্বর্ণব্যবসায়ী যিশুকৃষ্ণ আড়ি । শুক্রবার সকালে তাঁর দোকানে অভিযুক্তদের নিয়ে পৌঁছয় হাওড়া সিটি পুলিশ ও ব্যারাকপুর কমিশনারেটের বিশালবাহিনী। ছিলেন উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। তখন তিনি জানতে পারেন ডাকাতদের প্রথম টার্গেট ছিল তাঁর দোকান।
গত ১৮ মে ডাকাতরা তাঁর দোকানে একটি রুপোর চেন কিনতে এসে দোকানে রেইকি করে যায় বলেও এদিন জানতে পারেন দোকানি। গোটা এলাকার সমস্ত রাস্তাঘাটও ঘুরে দেখে দুষ্কৃতীদের দল। এমনও খবর, ২৪ মে এই দোকান লুঠ করতে আসার পরিকল্পনা ছিল তাদের। সেইমতো সকাল সকাল উপস্থিত হয় দোকানের বাইরে। তবে দোকান খোলার সঙ্গে সঙ্গে বেশ কিছু খদ্দের দোকানে চলে আসায় সেই পরিকল্পনা ব্যর্থ হয় তাদের।
পরবর্তীতে তারা চলে যায় ব্যারাকপুরে। গোটা ঘটনা দোকানের সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা ছিল। তদন্তের স্বার্থে এদিন সকালে পুলিশ আধিকারিকরা সেই সিসিটিভি সিজ করে নিয়ে যান। গোটা বিষয় জানার পর থেকেই আতঙ্কে রয়েছেন ওই ব্যবসায়ী। একইসঙ্গে নিরাপত্তাহীনতায়ও ভুগছেন। তিনি চাইছেন গোটা এলাকায় যেন পুলিশি টহলদারি আরও বাড়ানো হয়। একই সঙ্গে এ নিয়ে হাওড়া স্বর্ণ ব্যবসায়ী অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে একটি আবেদনও করা হয় বলে জানিয়েছেন তিনি ।
যিশুকৃষ্ণ আড়ি বলেন, “১০ বছর আগে আমার দোকানে একটা ডাকাতি হয়। আবারও আমিই টার্গেট জানতে পারার পর কীভাবে বাঁচব, কীভাবে ব্যবসা করব তা নিয়ে আমি, আমার পরিবার, আমার কর্মীরা সকলেই খুব চিন্তায়। ব্যারাকপুরে সোনার দোকানে ডাকাতি, খুনের ঘটনায় যারা ধরা পড়েছে, তাদের বয়ান অনুযায়ী, ১৮ তারিখ আমার দোকানে দু’জন ঢোকে। দু’জন বাইরে ছিল। সিলভার চেন কেনার ছলে দোকান দেখে যায়। এরপর ২৩ তারিখ সব রাস্তাঘাট ঘুরেছে এলাকার। ২৪ তারিখ সকাল সাড়ে ৯টা থেকে আমার দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে ছিল।”