ঝাড়গ্রাম: পারিবারিক অশান্তি চলছিল দীর্ঘদিন ধরে। কোনও ভাবেই বনিবনা হচ্ছিল না স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে। সব ঝুট ঝামেলা থেকে মুক্তি পেতে শেষে এই পথ বেছে নেবেন স্বামী কে ভেবেছিল। ধারাল অস্ত্র দিয়ে মহিলাকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল তাঁর বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়গ্রাম থানার বামুনমারা গ্রামের ঘটনা।
মৃতের নাম কনিকা বেরা (৫৮)। জানা গিয়েছে, কনিকার সঙ্গে তাঁর স্বামী গঙ্গাধরের দীর্ঘদিন ধরেই বচসা চলছিল। রবিবার সেই অশান্তি চরম পর্যায়ে পৌঁছয়। অভিযোগ, স্ত্রীকে বাড়ির কিছুটা অদূরে নিয়ে গিয়ে একটি মহুল গাছের তলায় দাঁড় করায়। তারপরই ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করে তাঁকে।
সোমবার স্থানীয় বাসিন্দারা রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পান কনিকা পড়ে রয়েছে। তার গলার একাধিক জায়গায় ক্ষত তৈরি হয়েছে। খবর দেওয়া হয় ঝাড়গ্রাম থানায়। পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশ মর্গে পাঠায়। ঘটনার পরেই এলাকা থেকে চম্পট দিয়েছেন স্বামী গঙ্গাধর বেরা। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ঝাড়গ্রাম থানার পুলিশ। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “ওদের মধ্যে মাঝে মধ্যেই ঝামেলা হত। দুজনই ছিল। দুজনই খাওয়া দাওয়া করত। দুজনই ঝগড়া ঝামেলা করে আবার মিটমাট করে নিত। ওই দিন কী হয়েছে বুঝতে পারলাম। আজ শুনি খুন হয়েছে।”