বীরভূম: শেষ হয়েছে মনোনয়ন জমার পালা। পেরিয়ে গিয়েছে প্রত্যাহারের চূড়ান্ত সময়। কিন্তু, তবুও থামছে না অশান্তি। রাজ্য়ের নানা প্রান্তে শাসক শিবিরের হামলার মুখে পড়ছেন বিরোধীরা। এবার সিম্বল নিয়ে ফেরার পথে কংগ্রেস (Congress) প্রার্থীর দুই দেওরকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান ও সমর্থকদের বিরূদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের (Birbhum) ময়ুরেশ্বর ২ ব্লকের উলকুন্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতের দুনাগ্রামে। ঘটনায় আরও তিনজন কংগ্রেস কর্মীও আহত হয়েছেন বলে খবর।
অভিযোগ, বুধবার ময়ুরেশ্বর ২ নম্বর ব্লক অফিস থেকে মহিলা কংগ্রেস প্রার্থী আলিফা বিবির দলীয় সিম্বল নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন তাঁর দুই দেওর গোলজার শেখ ও বেলজার শেখ। সেই সময় উলকুণ্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান তথা এলাকার তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা সামসোর আলম মোল্লা সদলবদলে তাঁদের পথ আটকান বলে অভিযোগ। শুরু হয় বেধড়ক মারধর। মার চোটে রাস্তাতেই অচৈতন্য হয়ে পড়েন দুজনেই। ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় গোটা এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় ময়ূরেশ্বর থানার পুলিশ। আহতদের বর্তমানে নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনায় কংগ্রেসের বীরভূম জেলার সভাপতি মিল্টন রশিদ বলেন, “আমাদের প্রার্থী আজ তাঁর দুই দেওরকে নিয়ে বিডিও অফিসে গিয়েছিল সিম্বলের ক্রমিক সংখ্যার ফর্ম নেওয়ার জন্য। রাস্তাতেই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁর দুই দেওরকে ব্যাপক মারধর করে। থানায় যায় অভিযোগ জানাতে। কিন্তু, সেখানে অভিযোগ নেওয়া হয়নি। এরপর তাঁরা বাড়ি ফিরতে গেলে ফের তাঁদের আটকে আবার বেধড়রক মারা হয়। তখনই গ্রামের লোকেরা প্রতিরোধ গড়লে দুষ্কৃতীরা পালায়।”
যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে ঘাসফুল শিবির। তৃণমূল কংগ্রেসের বীরভূম জেলার কোর কমিটির সদস্য বিকাশ রায়চৌধুরী বলেন, “আমি বিশ্বাস করি না আমাদের দলের কেউ এ কাজ করতে পারে। তবে কারা মারধর করল এটা আমি জানি না। খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে কী হয়েছিল। আসলে ওরা ভোটে হেরে যাওয়ার ভয়ে এখন নাটক করছে।”