Jalpaiguri: সাপে কেটেছে চিকিৎসককেই, শরীরে অসহ্য জ্বালা, ওই অবস্থাতেই সাপে কাটা রোগীর চিকিৎসায় ড. সৃজিতা! সাহসকে কুর্নিশ
Jalpaiguri: ধূপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতাল সদ্য মর্যাদা পেয়েছে মহকুমা হাসপাতালে। তবে বাড়েনি চিকিৎসকের সংখ্যা দাবি রোগীদের। যার কারণে চিকিৎসা পরিষেবা দিতে গিয়ে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। স্বাস্থ্যপরিসেবা রীতিমতো ভেঙে পড়ার অবস্থা। তার জলন্ত উদাহরণ চিকিৎসক সৃজিতা সাহা।
জলপাইগুড়ি: এক রাত আগে তাঁকে সাপে কামড়েছিল। চলছে স্যালাইন। শরীর জুড়ে ব্যথা। অথচ হাসপাতালে রোগীর ভিড়। সেভাবে পর্যাপ্ত চিকিৎসকও নেই হাসপাতালে। হাতে স্যালাইনের চ্যানেল নিয়েই পরের পর রোগী দেখে চলেছেন চিকিৎসক। রোগীর চিকিৎসা করে চলেছেন সাপে কাটা চিকিৎসক। নজির গড়লেন সৃজিতা সাহা। ধূপগুড়ি মহকুমা হাসপাতালের চিকিৎসক সৃজিতা নিজের কর্তব্যে অনড়।
ধূপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতাল সদ্য মর্যাদা পেয়েছে মহকুমা হাসপাতালে। তবে বাড়েনি চিকিৎসকের সংখ্যা দাবি রোগীদের। যার কারণে চিকিৎসা পরিষেবা দিতে গিয়ে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। স্বাস্থ্যপরিসেবা রীতিমতো ভেঙে পড়ার অবস্থা। তার জলন্ত উদাহরণ চিকিৎসক সৃজিতা সাহা।
শনিবার রাতে ওই চিকিৎসককেই সাপে কামড়েছিল। হাসপাতাল থেকে রুমে ফেরার পথে তাঁকে একটি সাপ কামড়ায়। তাঁকে স্যালাইন দিতে হয়। রবিবার কর্মস্থলে আসতে পারেননি তিনি। সোমবার সকাল থেকেই ডিউটিতে। সৃজিতা বললেন, “ধূপগুড়িতে প্রচুর সাপ। সাপ তো আর দেখে কামড়ায় না। সাপে কাটা রোগীও আসছে। তাঁদেরকেও দেখছি। কিচ্ছু করার নেই। স্টাফ কম।”
একদিকে চিকিৎসকের সংখ্যা কম হাসপাতালে, অন্যদিকে রোগীদের চাপ। স্যালাইন হাতে মুখ হাসি নিয়েই পরিষেবা দিয়ে চলেছেন সৃজিতা। চিকিৎসা করাতে আসা এক রোগী বললেন, “আমারা তো দেখছি, ডাক্তারের হাতেই স্যালাইনের চ্যানেল। একজনই ডাক্তার। তিনিই আমাদের দেখছেন। তিনি আর কতক্ষণই বা পারবেন ওভাবে।” হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে অবশ্য কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।