জলপাইগুড়ি: কবেই মিটেছে বিধানসভা নির্বাচন। দুয়ারে কড়া নাড়ছে লোকসভা নির্বাচন। কিন্তু, আজও পেলেন না বকেয়া বিল। বিল মেটাবার দাবিতে রাস্তায় বসে থালা বাটি বাজিয়ে আন্দোলন শুরু করে দিল পূর্ত দফতরের সরকারি লাইসেন্সপ্রাপ্ত ঠিকাদারেরা। আন্দোলনের ঠেলায় অফিসেই আটকে রইলেন চিফ ইঞ্জিনিয়র-সহ অন্যান্য ইঞ্জিনিয়র এবং অফিসের কর্মীরা। প্রসঙ্গত, গত বিধানসভা নির্বাচনে জলপাইগুড়ি জেলায় এসেছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। জওয়ানদের থাকার জন্য পরিকাঠামো তৈরি করেছিলেন পূর্ত দফতরের জলপাইগুড়ি ডিভিশনের সরকারি লাইসেন্সপ্রাপ্ত প্রায় দেড় শতাধিক ঠিকাদার।
জেলাজুড়ে চলেছিল কাজ। মোট বিল দাঁড়ায় প্রায় ৭ কোটি টাকা। ভোটের পর তিন বছর কেটে গেলেও আজও তাঁরা টাকা পাননি বলে অভিযোগ। টাকা চেয়ে গত তিন বছর ধরে ঠিকাদারেরা দফতরের আধিকারিকদের কাছে বহু আবেদন নিবেদন করেছেন। কিন্তু, কিছুতেই কাজের কাজ কিছু হয়নি বলে অভিযোগ। পঞ্চায়েত ভোটের সময়েও চলেছিল ধরনা। মিলেছিল বকেয়া মেটানোর আশ্বাস। তারপরেও কাজের কাজ কিছু হয়নি বলে অভিযোগ।
বকেয়া টাকা পরিশোধের দাবিতে বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে জলপাইগুড়ি পূর্ত দফতরের প্রধান গেটে ঢোকার রাস্তার সামনে ভিক্ষার বাটি হাতে নিয়ে অবস্থানে বসে যান ঠিকাদাররা। তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। ভিতরে আটকে পড়েন দফতরের আধিকারিক থেকে সাধারণ কর্মীরা।
ঠিকাদার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য হিমাদ্রি কর বলেন, “আমরা দফতরের লিখিত অর্ডার পাওয়ার পরেই কাজ করি। আমাদের প্রায় ৭ কোটি টাকা দফতরের কাছে বকেয়া রয়েছে। আমরা গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় বকেয়া টাকা মেটানোর দাবিতে ধরনায় বসেছিলাম। সেই সময় আমাদের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল দ্রুত বকেয়া মেটানো হবে। আমরা আন্দোলন তুলে নিই। কিন্তু, এরপর এতদিন পেরিয়ে গেলেও আমরা টাকা পাইনি। আমরা ঋণ করে কাজ করেছি। পাওনাদারদের টাকা দিতে পারছি না। সকাল বিকাল গালমন্দ শুনতে হচ্ছে। তাই আজ বাধ্য হয়ে আমরা গেট আটকে রাস্তায় বসে পড়লাম। টাকার আশ্বাস না পাওয়া পর্যন্ত আমরা চিফ ইঞ্জিনিয়ারকে অফিসের বাইরে বের হতে দেব না।” এ বিষয়ে পূর্ত দফতরের চিফ ইঞ্জিনিয়ার অজিত কুমার সিংয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি।