জলপাইগুড়ি: নিলামে চড়ানো হল তাজ হোটেল। কিনতে মাত্র ২০ হাজার টাকায়। শুনতে অবাস্তব লাগলেও এটাই সত্যি। তবে এই হোটেলে কিন্তু আপনি না পারবেন থাকতে, না পারবেন ঢুকতে। কারণ তাজ হোটেলের মতো দেখতে হলেও এটি একটি আস্ত কেক। যা রতন টাটার স্মরণে তৈরি হয়েছে জলপাইগুড়িতে। আকারে বিরাট এই কেক।
ঘটনাটা ঠিক কী?
জলপাইগুড়ির বাবু পাড়ার এক কেক প্রস্তুতকারী সংস্থা নাকি এই বিরাট কেকটি তৈরি করেছে। ক্রিসমাস উপলক্ষে রতন টাটাকে স্মরণে বাণিজ্যনগরীর মায়াবী সেই তাজ হোটেলের আদলে তৈরি হয়েছে এই কেকটি। ওজন প্রায় ৯০ পাউন্ড। আগামিকাল অর্থাৎ বড়়দিনের দিনেই নিলামে চড়ানো হবে এই ‘তাজ হোটেল’কে।
জানা গিয়েছে, এটা প্রথম নয়। বড় দিন উপলক্ষে প্রতি বছরই এই রকম আস্ত ফ্রুট কেক বানিয়ে থাকে বাবু পাড়ার এই সংস্থা। তারপর চলে নিলাম। মুম্বইয়ের তাজ হোটেলের আগে, লাল কেল্লা, সার্কিট বেঞ্চ, বাংলার রসগোল্লা, করোনা ভাইরাসের আদলেও কেক বানিয়েছিল তারা।
ইতিমধ্যে জলপাইগুড়িতে ‘তাজ হোটেল’ তৈরির খবর বেশ রমরমা ফেলেছে। ভিড় ঠেলে কেকটিকে দেখতে আসছে জনে জনে।
তিন ফুট লম্বা আর চওড়ায় ওই চার ফুটের মতো। ফ্রুট কেকের বেসের উপরেই তৈরি করা হয়েছে এক টুকরো মুম্বইয়ের তাজ হোটেলকে। এই প্রসঙ্গে ‘তাজ হোটেলের’ কারিগর অমল সরকার জানান, ‘মাত্র দুই দিনেই তৈরি হয়েছে কেকটি। প্রয়োজন পড়েছে দু’জন কারিগরের। রতন টাটার স্মরণেই নির্মাণ করা হয়েছে কেকটি।’
অন্যদিকে, এই কেক প্রস্তুতকারী সংস্থার কর্ণধার রঞ্জনা সাহা জানান, ‘বহু চর্চিত বিষয়কে স্মরণীয় করে রাখতে এই থিম কেক প্রস্তুত করা হয়।’ কিন্তু কেকটি একটু অন্যরকম। তিনি জানান, ‘এক দিকে যেমন ভারতের প্রথম বিলাসবহুল এই হোটেল সাক্ষী থেকে ছিল জঙ্গি হামলার। ঠিক তেমনই দেশের দুর্দিনে করোনাকে রুখতে কোয়ারেন্টাইনে সেন্টারেও পরিণত হয়েছিল এই হোটেল। তাই স্বর্গীয় রতন টাটাকে স্মরণ করেই এই কেক তৈরি করা।’