Jalpaiguri: আলো করে এল সে, নতুন বছরের শুরুতেই ডুয়ার্সে খুশির খবর
Dooars: শীত পড়তেই আবার নতুন আশার আলো জাগল।এবার ঘন কুয়াশার আড়ালে দেখা গেলো নতুন প্রাণের সঞ্চার।ছোট্ট ছোট্ট কুটটি পায়ে তার আনাগোনায় জঙ্গল জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে আনন্দের আবহ। ময়নাগুড়ি ব্লকে থাকা গরুমারা জাতীয় উদ্যানের রামসাই পর্যটন কেন্দ্রে সম্প্রতি দেখা মিলেল সদ্যজাত গন্ডার শাবকের।

জলপাইগুড়ি: বছর শেষে সুখবর। গরুমারা জাতীয় উদ্যানে থাকা বিলুপ্তপ্রায় এক শৃঙ্গ গন্ডার পরিবারে নতুন অতিথি এল।খুশির হাওয়া সব মহলে। গত অক্টোবর মাসে জলঢাকা নদীর ভয়াবহ বন্যায় ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছিল গরুমারা জাতীয় উদ্যান। মারা যায় গন্ডার সহ প্রচুর বন্যপ্রাণী। সেইসময় একের পর এক বন্যপ্রাণীর দেহ উদ্ধার হওয়ায় হাহাকার পরে যায় পরিবেশকর্মী মহলে।
কিন্তু শীত পড়তেই আবার নতুন আশার আলো জাগল।এবার ঘন কুয়াশার আড়ালে দেখা গেলো নতুন প্রাণের সঞ্চার।ছোট্ট ছোট্ট কুটটি পায়ে তার আনাগোনায় জঙ্গল জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে আনন্দের আবহ। ময়নাগুড়ি ব্লকে থাকা গরুমারা জাতীয় উদ্যানের রামসাই পর্যটন কেন্দ্রে সম্প্রতি দেখা মিলেল সদ্যজাত গন্ডার শাবকের। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, শাবকের বয়স মাত্র ৭ দিনের মতো।
বড়দিন এবং নতুন বছর উপলক্ষে পাহাড় ও সমতল সর্বত্রই এখন পর্যটকের ঢল। সেই ভিড়ের মধ্যেই রামসাই ওয়াচ টাওয়ার সংলগ্ন এলাকায় মা-গন্ডারের সঙ্গে শাবকটিকে দেখা যায়। জঙ্গলের লবণ সংরক্ষণের জায়গায় খাবারের খোঁজে এসেছিল মা-গন্ডার।তার সঙ্গেই নজরে পড়ে ফুটফুটে শাবকটি। নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে পর্যটকরা ক্যামেরাবন্দি করেন সেই বিরল মুহূর্ত।
বন্যার পর এই নতুন প্রাণের আগমন বন দফতরের কাছে স্বস্তির বার্তা।প্রকৃতি ও বন্যপ্রাণের এই সহাবস্থান ডুয়ার্সের এই পর্যটনকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলছে।
