জলপাইগুড়ি: জটিলতা চলছিলই। আন্দোলনে সামিল হয়েছিলেন শ্রমিকেরা। শেষ পর্যন্ত জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে অচলাবস্থা কাটল জলপাইগুড়ির সিমেন্ট কারখানায়। প্রসঙ্গত, ২০ শতাংশ বোনাসের দাবিতে গত দু’দিন ধরে কারখানার গেটের সামনে প্যান্ডেল বেঁধে আন্দোলন শুরু করেছিল তৃণমূল নেতা কৃষ্ণ দাসের অনুগামী শ্রমিকেরা। ফলে কারখানায় লরি ঢুকতে বা বের হতে গিয়ে বাধার মুখে পড়ছিল। স্তব্ধ হয়েছিল উৎপাদন। ক্ষোভ বেড়েছিল মালিকপক্ষের মধ্যেও। বিষয়টি জেলা প্রশসানকেও জানায় কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার দুপুরে জলপাইগুড়ি বিডিও অফিসে সব পক্ষকে নিয়ে বৈঠক হয়। বৈঠকে হাজির ছিলেন তৃণমূল নেতা কৃষ্ণ দাস। উপস্থিত ছিলেন শ্রম দফতরের আধিকারিক, ফ্যাক্টরি ইন্সপেক্টর ও বিডিও সদর মিহির কর্মকার। দীর্ঘ বৈঠকের পর বোনাস সংক্রান্ত বিষয়ে প্রশাসনের তরফে ইতিবাচক সারা পেয়ে অবস্থান তুলে নেয় শ্রমিকেরা। কিন্তু জেলা প্রশাসনের তরফে ডাক পেয়েও ওই বৈঠকে যাননি INTTUC জেলা সভাপতি তপন দে।
তৃণমূল নেতা কৃষ্ণ দাস বলেন, “কারখানায় বোনাস সমস্যা সমাধানে এদিন বিডিও তাঁদের ডেকেছিল। বৈঠক হয়েছে। বোনাসের বিষয়টি প্রশাসন খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে। অবস্থান তুলে নেওয়া হল।” অপরদিকে INTTUC জেলা সভাপতি তপন দে সাংবাদিক সম্মেলন করে জানিয়ে দেন তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের নাম করে যারা ওই বৈঠকে গিয়েছে তাঁদের তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের কোনও বৈধ অনুমোদন নেই। কীভাবে তারা সরকারি বৈঠকে গেলেন তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। অপরদিকে বিডিও মিহির কর্মকার জানিয়েছেন জেলাশাসকের নির্দেশ অনুযায়ী তিনি বৈঠক করেছেন। বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে।