জলপাইগুড়ি: চা শ্রমিকরা লড়ছেন তাঁদের ন্যূনতম মজুরির দাবিতে। কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে সোমবার এ সংক্রান্ত এক রিট পিটিশনের শুনানি ছিল। বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে মামলার শুনানি হয়। ন্যূনতম মজুরি ইস্যুতে রাজ্যকে হলফনামা পেশের নির্দেশ দিল হাইকোর্ট।
বর্তমানে চা শ্রমিকদের হাজিরা দিনে ২৫০ টাকা বলে জানা গিয়েছে। চা শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি সংক্রান্ত বিষয়ে রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সার্কিট বেঞ্চে রিট পিটিশন দাখিল করে পশ্চিমবঙ্গ চা মজুর সমিতি নামে একটি অরাজনৈতিক শ্রমিক সংগঠন। পশ্চিমবঙ্গ চা মজুর সমিতির আইনজীবী দীপ্তাংশু কর বলেন, “পশ্চিমবঙ্গ চা মজুর সমিতি একটা রিট পিটিশন দিয়েছিল সার্কিট বেঞ্চে। এর আগেও ওরা একটা রিট পিটিশন দাখিল করেছিল। ১০ এপ্রিল অর্ডার আসে। রাজ্য সরকারকে বলা হয়েছিল ন্যূনতম মজুরি নির্দিষ্ট করার জন্য। এটা একটা আইনি অধিকার। রাজ্যকে সেটা দেখতে হবে। কিন্তু রাজ্য সরকার নিজেদের দায়িত্ব থেকে সরে আসছিল। ন্যূনতম ওয়েজ নির্দিষ্ট করা হচ্ছিল না।”
ওই আইনজীবী জানান, আগের রিট পিটিশনে সার্কিট বেঞ্চ বলেছিল সমস্ত স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে কথা বলে একটা মজুরি নির্দিষ্ট করতে হবে। কিন্তু সকলের কথা শোনা হয়নি। শুধুমাত্র পিটিশনারদের সঙ্গে কথা বলে ৩১ মে শ্রম দফতর একটি অর্ডার দেয়। লেবার কমিশনার মিনিমাম ওয়েজ ধার্য করতে পারে বলেছিল সার্কিট বেঞ্চ। কিন্তু তারা সেই দায়িত্ব থেকে সরে যায়। তাই আবারও রিট পিটিশন দাখিল করে চা শ্রমিকদের ওই সংস্থা।
অ্যাডিশনাল অ্যাডভোকেট জেনারেল জয়জিৎ চৌধুরী বলেন, “ন্যূনতম মজুরি সংক্রান্ত যে আইন কার্যকর করতে বলা হয়েছে আগেই। রাজ্য কাজ করছে। এরইমধ্যে অন্য পিটিশনাররা এসেছেন। আমরা আদালতকে সবটাই বলেছি। আদালত বলেছে হলফনামার মাধ্যমে কথাগুলো জানাতে। তিন সপ্তাহের সময় দিয়েছেন জজসাহেব।” রাজ্যের হলফনামা পেশ করার পরের সপ্তাহে পশ্চিমবঙ্গ চা মজুর সমিতি হলফনামা পেশ করবে। এক মাস পর মামলার ফের শুনানি হবে।