Jalpaiguri: হাতাহাতি, রাস্তা অবরোধ, ‘সমাধান’ শিবিরকে ঘিরে মালবাজারে ধুন্ধুমার
Amader Para, Amader Samadhan: সিপিএম কর্মীদের অভিযোগ, তৃণমূল কর্মীরা শিবির ভন্ডুল করার জন্য গোলমাল পাকান। অন্যদিকে, শাসকদলের দাবি, সিপিএম আগে থেকেই কাজের তালিকা বানিয়ে ওই শিবিরে হাজির হয়েছিল। সেই নিয়ে তর্কাতর্কি থেকেই শুরু হয় অশান্তি।

জলপাইগুড়ি: স্থানীয় সমস্যার সমাধানের জন্য ‘আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান’ কর্মসূচি চলছে রাজ্যের প্রান্তে প্রান্তে। সেই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করেই উত্তপ্ত হয়ে উঠল জলপাইগুড়ির মালবাজার ব্লকের তেশিমলা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা। শনিবার এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় মারপিট, ধস্তাধস্তি বাধে। রাস্তা অবরোধও করা হয়। এই নিয়ে তৃণমূল ও সিপিএমের মধ্যে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে।
এদিন তেশিমলা বোর্ড ফ্রি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের লাগোয়া পূর্ত দফতরের রাস্তার ধারে ওই শিবির বসেছিল। সেখানে ২০/১৩৮, ১৯ ও ১৪০ বুথের গ্রামবাসীরা নিজেদের দাবিদাওয়া তুলতে আসেন। অভিযোগ, সেই সময় তৃণমূল ও সিপিএম সমর্থকদের মধ্যে বচসা শুরু হয়। হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন দুই দলের সমর্থকরা। মারপিটের জেরে ওই ‘আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান’ শিবিরে উত্তেজনা ছড়ায়।
সিপিএম কর্মীদের অভিযোগ, তৃণমূল কর্মীরা শিবির ভন্ডুল করার জন্য গোলমাল পাকান। অন্যদিকে, শাসকদলের দাবি, সিপিএম আগে থেকেই কাজের তালিকা বানিয়ে ওই শিবিরে হাজির হয়েছিল। সেই নিয়ে তর্কাতর্কি থেকেই শুরু হয় অশান্তি।
অবস্থা এমন জায়গায় পৌঁছয়, গ্রামবাসীরা পূর্ত দফতরের রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করলে তাদের সঙ্গেও ধস্তাধস্তি হয়। শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আরও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। সাধারণ মানুষের বক্তব্য, এই শিবিরে কাজের দাবিই মূল আলোচনার বিষয় ছিল। কিন্তু, দুই দলের কর্মী-সমর্থকদের গন্ডগোলে সেই আলোচনাই চাপা পড়ে যায়।

‘আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান’ শিবিরে উত্তেজনা
‘আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান’ শিবিরে গন্ডগোল নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি মহুয়া গোপ বলেন, “এই শিবিরে দলমত নির্বিশেষে সাধারণ মানুষ নিজেদের পাড়ার সমস্যার কথা বলবেন। এখানে হয়তো কোনও বিভ্রান্তি ছড়ানো হয়েছে। তাই একটু সমস্যা হয়েছে।” সরকারি কর্মসূচিকে ভেস্তে দেওয়ার চক্রান্ত কি না, এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “চক্রান্ত বলাটা ঠিক মনে হচ্ছে না। ওই তিনটে বুথে সিপিএমের পঞ্চায়েত সদস্য রয়েছেন। হয়তো এমন হয়েছে, আগে থেকে ঠিক করে রেখেছিল, এইসব প্রকল্পের কথা জানানো হবে। কিন্তু, অন্য দলগুলি এবং সাধারণ মানুষ তো এলাকার বিভিন্ন প্রয়োজনীয়তার কথা বলবেন। তাই নিয়েই বোধহয় গন্ডগোল বাধে।”
পাল্টা তৃণমূলকে আক্রমণ করে সিপিএমের জেলা সম্পাদক পীযূষ মিশ্র বলেন, “কিছু ঠিকাদার ও কিছু তৃণমূল কর্মীকে কাজ দেওয়ার জন্য ওই শিবির হয়েছিল। কিন্তু, ওখানে ঠিকাদারদের সমস্যার সমাধান হচ্ছিল না। পাড়ার লোকেদের সমস্যার সমাধান হচ্ছিল। তৃণমূলের ঠিকাদাররা যে রাস্তা করতে চেয়েছিলেন, সাধারণ মানুষ সেই রাস্তা করতে চাননি। এই নিয়েই সমস্যা। তৃণমূলের ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন সাধারণ মানুষ।”
