শ্বাসকষ্টে মৃত্যু বৃদ্ধের, রাত থেকে বাড়ির সামনেই পড়ে দেহ

May 13, 2021 | 11:39 AM

বৃদ্ধের ছেলে করোনায় আক্রান্ত। এরই মধ্যে রাতে আচমকা মৃত্যু বৃদ্ধের। এলাকায় ছড়িয়েছে আতঙ্ক।

শ্বাসকষ্টে মৃত্যু বৃদ্ধের, রাত থেকে বাড়ির সামনেই পড়ে দেহ
বাড়ির সামনে পড়ে মৃতদেহ

Follow Us

ধূপগুড়ি: বাড়িতে ছেলে করোনায় আক্রান্ত। বৃদ্ধ বাবার মৃত্যুর খবর পেয়ে ফিরেও তাকাচ্ছে না কেউ। রাত থেকে বাড়ির সামনেই পড়ে আছে মৃতদেহ। মৃত পঞ্চানন ঘোষের শ্বাসকষ্টের উপসর্গ দেখা দেওয়াতেই মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। যদিও তাঁর করোনা হওয়ার কোনও প্রমাণ মেলেনি এখনও। ধূপগুড়ি পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের দোলাপাড়া এলাকার ঘটনা।

গত সাতদিন ধরে বাড়িতে রয়েছেন তাঁর করোনা আক্রান্ত ছেলে।বৃহস্পতিবার রাতে আচমকাই তাঁর বাবার মৃত্যু হয় শ্বাসকষ্টে। আতঙ্কে মৃতদেহের কাছে ঘেঁষছেননা কেউ।রাত থেকে বাড়ির সামনে রাস্তার পাশে পড়ে রয়েছে দেহ।বাড়ির মহিলা ও পুরুষরাই মৃতদেহ শেষকৃত্যের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। কিন্তু মৃতদেহ নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করতেই হয়রান হতে হয় তাঁদের। করোনা আবহে এই বয়স্ক ব্যক্তির মৃত্যু ঘিরে গোটা এলাকায় আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। অভিযোগ, এলাকার ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে ফোন করা হলেও তিনি আসেননি এলাকায়। যোগাযোগ করা হয় ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের সঙ্গেও।

প্রথমে কারও কাছ থেকেই সাহায্য পাওয়া যায়নি বলে অভিযো। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন ধূপগুড়ি টাউন ব্লক তৃণমূল সভাপতি দেবদুলাল ঘোষ ও ডিওয়াইএফআই নেতা নির্মাল্য ভট্টাচার্য। তাঁরা বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগের চেষ্টা করেন। অবশেষে হাসপাতাল থেকে দেহ নিয়ে যাওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

ধূপগুড়ি শ্মশানের বৈদ্যুতিক চুল্লির মেশিন বেশ কিছুদিন ধরে বিকল হয়ে পড়ে রয়েছে। মেরামতের কাজ চলছে। স্বাভাবিকভাবে এখানে সৎকার করা সম্ভব নয়। আর যেহেতু আগে মৃতদেহের করোনা টেস্ট হয়নি, তাই মৃতদেহের করোনা পরীক্ষা কোথায় হবে, তা নিয়ে একটি সমস্যা তৈরি হয়েছে। তৃনমুল টাউন ব্লক সভাপতি দেবদুলাল ঘোষ জানিয়েছেন, ‘করোনায় মৃত্যু হয়েছে সন্দেহ করেই কে্ কাছাকাছি আসছেন না। তবে হাসপাতাল থেকে দেহ নিয়ে যাবে বলেছে।’

সূত্রের খবর, সপ্তাহখানেক আগেই বাড়ির বড় ছেলের করোনা রিপোর্ট পজেটিভ আসে। তারপর থেকে গৃহবন্দি সেই ছেলে। বাবা বয়স্ক ৭০ বছর বয়স পঞ্চানন ঘোষ নাম। তারও শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। আগের থেকে শ্বাসকষ্ট ভুগছিলেন বলে দাবি প্রতিবেশীদের।এই খবর লেখা পর্যন্ত পর্যন্ত মৃতদেহ বাড়িতেই পড়ে রয়েছে।

Next Article