জলপাইগুড়ি: শিবভক্তদের নিরাপত্তায় কেন্দ্র ও রাজ্য উভয় পুলিশের কড়া নজরদারি। শ্রাবণ মাস উপলক্ষে জল্পেশ মন্দিরে শিব ভক্তদের ঢল নেমেছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে তিস্তা পার থেকে মন্দির পর্যন্ত এলাকায় একদিকে যখন কড়া নজরদারিতে খোদ পুলিশ সুপার। অন্যদিকে তিস্তার রেল সেতু সংলগ্ন এলাকায় কড়া নজরদারিতে রেল পুলিশ।
শ্রাবণের তৃতীয় সপ্তাহ পড়ে যাচ্ছে সোমবার। রবিবার রাত থেকেই ভিড় উপচে পড়েছে উত্তরবঙ্গের সবথেকে বড় শৈব তীর্থক্ষেত্র ময়নাগুড়ির জল্পেশ মন্দিরে। পুরাণ মতে সোমবার শিবের বার। কথিত আছে, শ্রাবণ মাসের সোমবার শিবলিঙ্গে জল ঢেলে পুজো করলে পুণ্য অর্জন হয়। তাই শ্রাবণমাস জুড়ে ভক্তরা শিবলিঙ্গে জল ঢালতে আসেন। সোমবারই উপচে পড়ে ভিড়।
রবিবার দুপুরের পর থেকেই উত্তরবঙ্গ-সহ বিহার, অসম, নেপাল থেকেও শিব ভক্তরা আসেন। এই তীর্থক্ষেত্রে যাতে কোনও অপ্রীতকর ঘটনা না হয় তার জন্য কড়া নজরদারি চালাচ্ছে পুলিশ। নিয়ম অনুযায়ী ভক্তরা প্রথমে তিস্তা নদীতে স্নান করেন। নদী আরাধনা করে তিস্তা থেকে জল নিয়ে পায়ে হেঁটে জল্পেশ মন্দিরে যান। এরপর সেখানে গিয়েই মহাদেবের পুজো করেন ভক্তরা।
এদিকে গত কয়েকদিনের বৃষ্টির জেরে তিস্তায় জলস্তর বেড়েছে। জারি রয়েছে হলুদ সতর্কতা। পাশাপাশি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনায় জারি করা হয়েছে সতর্কতা। তাই ভক্তদের স্নানের জায়গা থেকে শুরু করে মন্দির পর্যন্ত এলাকায় এবং ভক্তদের আসার অন্যান্য রাস্তায় অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে নজরদারি চলছে।
একইসঙ্গে তিস্তায় বাঁশ দিয়ে পোক্ত ব্যারিকেড করা হয়েছে। পাশাপাশি মোতায়েন করা হয়েছে সিভিল ডিফেন্সের টিম। জলপাইগুড়ি পুলিশ সুপার উমেশ খান্ডেবহাল জানান, জেলা পুলিশ রাস্তায় আছে সবসময়। কোনও অসুবিধা হলে পুলিশের সাহায্য নেওয়ার কথাও বলেছেন তিনি। শুধু সকলে আইন মেনে চলুন, বার্তা তাঁর। আরপিএফ ইন্সপেক্টর বিপ্লব দত্ত বলেন, তিস্তার রেল সেতু সংলগ্ন এলাকায় যাতে কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্য রেল ট্র্যাক বরাবর আমাদের নজরদারি চলছে।