Dhupguri News: কুয়াশার রাতে ফাঁকা গলিতে পাঁচিলে ঠেক দিয়ে বসে নেশাগ্রস্ত যুবতী, পাশেই এক যুবক! দৃশ্য দেখে স্তম্ভিত বাসিন্দারা
Dhupguri News: খবর চাউর হতেই স্থানীয় বাসিন্দারা এলাকায় জড়ো হতে থাকেন। উত্সাহী কয়েকজন তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে শুরু করে। কিন্তু এলাকাবাসীর বক্তব্য, দুজনের কথাতেই অসঙ্গতি ছিল।
জলপাইগুড়ি: রাত তখন অনেকটাই। কুয়াশায় ঢেকেছে চারদিক। নির্জন রাস্তাঘাট। এলাকারই এক গলির মুখে দেওয়ালে ঠেক নিয়ে অচৈতন্য অবস্থায় বসে রয়েছেন এক যুবতী। স্থানীয় কয়েকজন দোকানদার, যাঁরা অনেক রাতে ফিরছিলেন, তাঁদের চোখে প্রথম বিষয়টি পড়ে। যুবতীকে ডাকলে কোনও সাড়া মেলেনি। কিছুক্ষণ পরই ওই এলাকায় দেখা মেলে এক যুবকের। যুবতীর পাশেই আসেন তিনি। স্থানীয়দের নজরে পড়তেই তাঁরা চলে আসেন কাছে। প্রশ্ন করা হয় একাধিক। কিন্তু যুবকের কথায় অসঙ্গতি থাকায় দেওয়া হয় গণপিটুনি। শীতের রাতে চাঞ্চল্যকর ঘটনা ধূপগুড়ির ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ডাঙা পাড়ায়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের বয়ান অনুযায়ী, ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ডাঙা পাড়ায় ওই যুবতী এক গলির মুখে বসে ছিলেন। তাঁর আচরণও স্বাভাবিক ছিল না। স্থানীয়দের দাবি, ওই যুবতী নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ছিলেন। পরবর্তীতে এক যুবককে ওই মহিলার সঙ্গে দেখতে পাওয়া যায়। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, ওই মহিলাকে এলাকায় আগে কখনও দেখা যায়নি।
খবর চাউর হতেই স্থানীয় বাসিন্দারা এলাকায় জড়ো হতে থাকেন। উত্সাহী কয়েকজন তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে শুরু করে। কিন্তু এলাকাবাসীর বক্তব্য, দুজনের কথাতেই অসঙ্গতি ছিল। তাঁরা স্পষ্ট করে কিছু বলছিলেন না। এদিকে, স্থানীয়দের সন্দেহ হয়, কোনও অসত্কাজের জন্যই হয়তো ওই যুবতীকে যুবক নিয়ে যাচ্ছিলেন।
এরপর যুবকের ওপর শুরু হয় উত্তম মধ্যম। বেশ কয়েক ঘা পড়ার পর ওই যুবক নিজেকে ময়নাগুড়ি থানার সিভিক ভলেন্টিয়ার হিসাবে পরিচয় দেন। জানান, ওই যুবতীর বাড়ি তেলিপাড়াতে। এরইমধ্যে খবর যায় পুলিশে। ধূপগুড়ি থানার পুলিশ গিয়ে ওই যুবক-যুবতীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “আমি এসে দেখি মেয়েটা পড়ে রয়েছে। মেয়েটা নেশা করেছে। দাঁড়াতেও পারছিল না ঠিক মতো।” তবে ওই বাসিন্দার কথায় উঠে আসে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। তিনি দাবি করেন, “এলাকার মহিলারা ওই সিভিক ভলেন্টিয়াকে ওই যুবতীকে রাস্তায় বসিয়ে রেখে চলে যেতে দেখেছিলেন। পরে ওই যুবককে আবারও দেখা যায়। তখনই আমরা তাঁকে ধরে ফেলি। ওই যুবক দাবি করেছেন, ওই যুবতী নাকি তাঁকে বিভিন্ন ভাবে ব্ল্যাকমেইল করছিলেন। টাকা নিচ্ছিলেন। আসলে আমাদেরই এলাকার এক জন মহিলা ওই যুবতীকে এই সব কাজে ব্যবহার করেন। অর্থাত্ বিভিন্ন পুরুষদের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করে ব্ল্যাকমেইল করে টাকা আদায় করা। আমরা এবার ওই মহিলাকে ধরব।”
আরেক মহিলা বলেন, “মেয়েটা নেশা করেছে। তা না হলে এরকমটা হয় না। পুলিশকে আমরা জানিয়েছিলাম। পুলিশ এসে ওদের নিয়ে গেছে। ”