জলপাইগুড়ি: হস্তিশাবককে পিষে মেরেছিল যে ডাম্পার, অবশেষে তার চালককে গ্রেফতার করল পুলিশ। হস্তি শাবককে পিষে মারার ঘটনায় ভোরের আলো থানার পুলিশের হাতে গ্রেফতার একজন। গত বৃহস্পতিবার ভোরে বৈকন্ঠপুর বনবিভাগের আওতাধীন গজলডোবা ক্যানেল রোডের ধারে শুয়ে থাকা এক হস্তিশাবককে পিষে দেয় বালিবোঝাই ডাম্পার। শুক্রবার মারা যায় হস্তিশাবকটি। বৃহস্পতিবারের ঘটনায় অবশেষে রবিবার এল গ্রেফতারের খবর।
ভোরের আলো থানার ওসি মৃণ্ময় ঘোষ জানান, হাতির ছানাকে ডাম্পার দিয়ে পিষে দেওয়ার অভিযোগে ঘাতক ডাম্পারটিকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ঘটনায় ডাম্পার চালক মহম্মদ সোনুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার জলপাইগুড়ি জেলা আদালতে তোলা হবে তাঁকে।
মানবিকতার অভাবে ক্রমেই বিপন্ন হচ্ছে বন্যপ্রাণ। জঙ্গলপথে কড়া নজরদারির জন্য পুলিশ এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্য নিক, এমনই প্রস্তাব জেলার পরিবেশ কর্মীদের। জঙ্গল পথে বেপরোয়া যানচলাচল বন্ধে রবিবার বিকালে ভোরের আলো থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন পরিবেশ কর্মীরা। পাশাপাশি ক্যানেল রোডে চলা ডাম্পার চালকদের মধ্যে সচেতনতা প্রচারও চলে।
গত ২০ জুন ভোরে গজল ডোবা ক্যানেল রোডে বেপরোয়া এক ডাম্পারের ধাক্কায় গুরুতর জখম হয় একটি হস্তি শাবক। পরে বেঙ্গল সাফারি পার্কে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সে। এই ঘটনায় সরব হন পরিবেশ কর্মীরা।
তাঁদের বক্তব্য, বেপরোয়া যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হোক। কারণ, মানুষের নিরাপত্তার দাবি যতটা গুরুত্বপূর্ণ, বন্যপ্রাণের নিরাপত্তাও ততটাই দরকার। বন্যপ্রাণীর নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে সিসিএফ ওয়াইল্ডলাইফকে স্মারকলিপিও দেওয়া হয়। একইসঙ্গে ভোরের আলো থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন শ্যামাপ্রসাদ পাণ্ডে নামে এক পরিবেশ কর্মী।
পরিবেশ কর্মী কৌস্তভ চৌধুরী জানান, বন্যপ্রাণী রক্ষার স্বার্থে জঙ্গল পথে আরও কড়া নজরদারির প্রয়োজন রয়েছে। পুলিশকে বলা হয়েছে, অত্যাধুনিক এআই প্রযুক্তি সম্পন্ন সিসিক্যামেরার সাহায্য নেওয়া হোক। তাঁরাই দেবেন সেই ক্যামেরা, তাঁরাই তা বসাবেন। পুলিশ জানিয়ে দিক, কোথায় সেগুলি বসাতে হবে।