TMC: হাতে তৃণমূলী ঝান্ডা, আবগারি-আধিকারিকদের পথ আটকে দাবি, ‘ভাঙা যাবে না চোলাইয়ের ঠেক’
Excise Department: কয়েকজন পুরুষ ও মহিলা একত্রিত হয়ে তৃণমূলের পতাকা হাতে নিয়ে আবগারি দফতরের আধিকারিকদের অভিযান চালাতে বাধা দেন। তাঁদের ঘিরে বিক্ষোভ প্রদর্শনও করা হয় বলে আবগারি দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে।
মালবাজার: অবৈধ চোলাই মদের কারখানা রক্ষা করতে তৃণমূলের (TMC) ঝান্ডা হাতে প্রতিরোধ! এমনই ঘটনা ঘটল মালবাজারে। পুজোর (Durga Pujo) আগে অবৈধ চোলাই মদ (distilled liquor) তৈরির কারখানা বা ভাটিগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে গিয়ে তৃণমূলের (TMC) পতাকা হাতে একদল কর্মী ও সমর্থকদের বাধার মুখে পড়তে হল আবগারি দফতরের (Excise Department) আধিকারিক ও কর্মীদের।
ঠিক কী ঘটেছে?
গত দুদিন ধরে মাল মহকুমার সাওগাঁও বস্তী, এলেনবাড়ি, দিলুবস্তি, বারোঘড়িয়া, ষোলোঘড়িয়া ও মেচবস্তি এলাকায় বেআইনি চোলাই মদ তৈরির কারখানাগুলো ভেঙে দিতে বড়ো মাপের অভিযান চালানো হয় আবগারি দফতরের তরফে। আবগারি বিভাগের জলপাইগুড়ি ডিভিশনের জয়েন্ট কমিশনার কামার জেলিস, মাল রেঞ্জের ডেপুটি এক্সাইজ কালেক্টর সম্বিত প্রধান প্রমুখের নেতৃত্বে মাল থানার পুলিশের একটি দলকে সঙ্গী করে এই অভিযান চলে। তার পর এদিন এই কাণ্ড। অভিযোগ, তৃণমূলের পতাকা নিয়ে কয়েকজন সরকারি আধিকারিকদের বাধাদান করেন। অবৈধ চোলাইয়ের ঠেক ভাঙতে দিতে চাননি তাঁরা!
জানা গিয়েছে, অভিযান চলাকালীন এদিন ক্রান্তি ব্লকের রাজাডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বারোঘড়িয়া,ষোলোঘড়িয়া ও মেচবস্তি এলাকায় স্থানীয় কয়েকজন পুরুষ ও মহিলা একত্রিত হয়ে তৃণমূলের পতাকা হাতে নিয়ে আবগারি দফতরের আধিকারিকদের অভিযান চালাতে বাধা দেন। তাঁদের ঘিরে বিক্ষোভ প্রদর্শনও করা হয় বলে আবগারি দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে।
যদিও তৃণমূলের পতাকা হাতে বিক্ষোভকারীরা দলের কেউ নয় বলে পাশ কাটিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের ক্রান্তি ব্লক কমিটির সভাপতি মেহবুব আলম। মেহবুব দাবি করেন, “বিক্ষোভকারীরা হয়ত কোনওভাবে তৃণমূলের পতাকা সংগ্রহ করে সরকারি কাজে বাধা দিতে গিয়েছেন। যাই ঘটুক না কেন, বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে দলের পতাকা ব্যবহার করা ঠিক হয়নি। তবে ওঁনাদের সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই।” বিষয়টি দলের তরফে খোঁজ নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন মেহবুব আলম। এদিকে কটাক্ষের সুযোগ ছাড়েনি বিজেপি শিবির।
এই ক্ষোভ-বিক্ষোভের মাঝেই দু’দিন ব্যাপী অভিযানে আনুমানিক ১৩ লক্ষ টাকার চোলাই মদ ও মদ তৈরির ফার্মেন্টেড ওয়াশ নষ্ট করা হয়েছে বলে জানান মাল রেঞ্জের ডেপুটি এক্সাইজ কালেক্টর সম্বিত প্রধান। প্রায় ২৫ হাজার লিটার ফার্মেন্টেড ওয়াশ (চোলাই মদ তৈরির উপকরণ) এবং ২৫০ লিটার তৈরি চোলাই মদ মাটিতে ফেলে নষ্ট করার পাশাপাশি প্রত্যন্ত গ্রামগুলোতে গজিয়ে ওঠা কারখানাগুলোও এদিন ভেঙে দেওয়া হয়েছে বলে সম্বিত প্রধান দাবি করেন। তবে ওই অভিযানে কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি। আগামী দিনেও এ ধরনের অভিযান লাগাতার চলবে বলে জানিয়েছেন মাল রেঞ্জের ডেপুটি এক্সাইজ কালেক্টর সম্বিত প্রধান।
আরও পড়ুন: Kaliachak: তৃণমূলের বিজয় মিছিল থেকে পুলিশের দিকে ছুটে এল গুলি! ক্রস ফায়ারিংয়ে ‘কুরুক্ষেত্র’ কালিয়াচক